যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে ১শ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দাতা সংস্থাগুলো। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জেনেভায় জাতিসংঘ আয়োজিত সম্মেলনে এ অঙ্গীকার করেন তারা।
সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, কয়েক দশকের যুদ্ধ, ভোগান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতার পর আফগানরা সম্ভবত তাদের সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়ের মুখোমুখি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন আফগানিস্তানের জনগণের একটি জীবনরেখা প্রয়োজন। এ সময় গুতেরেস বলেন, বর্তমানে আফগানিস্তানের আর্থিক ব্যবস্থা খুবই সীমিত। এর ফলে অর্থনীতির বেশ কিছু মৌলিক বিষয় নিয়ে সেখানে কাজ করা যাবে না।
জাতিসংঘ বলছে, তালেবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর পশ্চিমা সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে আফগানিস্তানে। বর্তমানে দেশটির প্রায় ২ কোটি মানুষ আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। অর্থের জন্য মরিয়া আফগানরা নিজ ঘরের হাড়ি-পাতিল এবং ঘরের আসবাবপত্রও বিক্রি করছেন।
সোমবারের সম্মেলন শেষে যুক্তরাষ্ট্র ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়, জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আফগানিস্তানের জন্য ১১ কোটি ৮০ লাখ ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফ্রান্স।
পশ্চিমা সমর্থিত আফগান সরকারের পতনের আগে দেশটি কয়েক শ কোটি ডলার বিদেশি সহায়তা পেয়ে আসছিল। কিন্তু তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর সেই সহায়তা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন কর্মসূচির ওপর চাপ বেড়ে যায়।
এদিকে, পাঞ্জসির উপত্যকায় তালেবান ও বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে অন্তত ২০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিবিসি। সোমবার কাবুল থেকে প্রথম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ফ্লাইট গেছে পাকিস্তানে।