২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী এ বছর এইচএসসিতে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এবার দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সাড়ে ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। সে হিসেবে গতবারের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ কমেছে ৮৩ হাজার ৯১৭।রোববার (২৬ নভেম্বর) শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এইচএসসির ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন ১১ শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা।
ঘরে বসেই নির্ধারিত ওয়েবসাইট এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এসএমএসের মাধ্যমে ফল পেতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে ইংরেজি অক্ষরে এইচএসসি লিখতে হবে। পরে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখতে হবে। আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখতে হবে। এরপর ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল জানতে শিক্ষার্থীকে প্রথমে www.educationboardresults.gov.bd ঠিকানায় প্রবেশ করতে হবে। সেখানে থাকা ফলাফল অপশনে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিতে হবে। পরে সেটা সাবমিট করলেই শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট শিট দেখতে পাবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। এবার দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। মোট ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করেছিলেন।
পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী। বন্যার কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া ৩ বোর্ডের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থীর ২৭ আগস্ট থেকে চট্টগ্রাম, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার পূর্ণ নম্বরের প্রশ্নপত্র এবং পূর্ণ সময়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইসিটি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছে।