একটি চন্দ্র, নানা ধর্মের উৎসবের পঞ্জিকা। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে দেশের সম্প্রীতি যখন সমালোচনায় প্রশ্নবিদ্ধ, ঠিক তখন এই চন্দ্র দিনেই তিন ধর্মের মানুষের উৎসবের উপলক্ষ্যও। দেশজুড়ে যেমন পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী, তেমনি হয়েছে লক্ষ্মীপূজা আর প্রবারণা পূর্নিমাও।
বিশ দশ দুই হাজার একুশ, সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার বিষবাস্পে দিনটি যেনো ছিলো অসম্প্রদায়িক বন্ধনে। এই একটি দিনেই শহরের অলিপথ গলিপথ জুড়ে ছিলো ভিন্ন ধর্মের ভিন্ন ভিন্ন উৎসব শুধু অভিন্ন ছিলো মানুষ, অভিন্ন ছিলো মানুষের প্রার্থনা। যেখানে আবারও একাত্ম হয়েছিলো সম্প্রীতির বাংলাদেশ।
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে এদিন জশনে জুলুসের শোভাযাত্রায় যেমন ছিলো শান্তির বারতা, তেমনি ছিলো আত্মশুদ্ধির প্রার্থনাও। আবার লক্ষীপূঁজা উপলক্ষ্যে এদিনই গৃহস্থালীর আশীর্বাদে স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যে অবতরন করেছিলেন দেবী লক্ষ্মী, সেখানেও ছিলো স্বস্তিরই বাতাবরন।
অন্যদিকে ফানুসে ফানুসে আলোর গল্পে প্রবারনা পূর্ণিমায় দিনটি জুড়ে বৌদ্ধ ধর্মে ছিলো অহিংসারই মতবাদ।
কী হিন্দু-মুসলিম,-বৌদ্ধ সবারই অভিমত, কি মুসলমান হিন্দু কিংবা বৌদ্ধ এই একটি দিন যদি মিশে যায় ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের উৎসব প্রার্থনায়, তবে কেনো সাম্প্রদায়িক সহিংসতা।