৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে ধর্ষণ মামলা না নেয়ার পরামর্শ দেওয়া বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার ক্ষমতা হারালেন রায় ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই। আদালতে এসে জানলেন বিচার করার ক্ষমতা হারিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৪ নভেম্বর) প্রতিদিনের মতো সকালেও আদালতে এসেছিলেন কামরুন্নাহার। সকাল ৯টার আগেই আদালতে পৌঁছান তিনি। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে বিচারকাজ শুরু হওয়ার আগেই খাসকামরায় বসে জানতে পারেন, তাকে আদালতে না বসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারকদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক হিসেবে বনানীর রেইনট্রিতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে তিনি ওই পরামর্শ দিয়েছিলেন। এজন্য তাকে আদালতে না বসার নির্দেশ দেয়া হয়।