এনআইডি সেবা অব্যাহত রাখতে ৬২ কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণ, খরচ ১ কোটি

    0
    27

    জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা অব্যাহত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

    ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এ প্রকল্পেও বিদেশ ভ্রমণের সংস্থান রাখা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় বিদেশ ভ্রমণ করবেন ৬২ সরকারি কর্মকর্তা। এতে খরচ হবে ১ কোটি টাকা। এছাড়া, আইডিইএ দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় প্রবাসে নিবন্ধন টিম পাঠানো এবং প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন সংক্রান্ত খাতেও খরচ করা হবে ১০০ কোটি টাকা। কেবল বিদেশ নয়, দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণের জন্যও খরচ করা হবে ২ কোটি টাকা।

    এর মধ্যে স্মার্ট কার্ড কেনা, উৎপাদন, পারসোনালাইজেশন ও উপজেলা পর্যায়ে পাঠানোর জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৫৫৪ কোটি টাকা, যা মোট খরচের ৩০ শতাংশ। উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছার পর ৫ কোটি স্মার্ট কার্ড বিতরণ ও ব্যবস্থাপনায় খরচ করা হবে ৭৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি স্মার্ট কার্ড বিতরণ ও ব্যবস্থাপনায় ১৫ টাকা করে খরচ করবে ইসি।

    বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বুধবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

    নির্বাচন কমিশন প্রকল্পটির উদ্যোগী ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান। মোট ১ হাজার ৮০৫ কোটি ৯ লাখ টাকা খরচে প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।।

    প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো- ডাটা সেন্টার ও ডিজাস্টার রিকভারি সাইটের বিদ্যমান সার্ভারকে অধিকতর দক্ষতাসম্পন্ন নতুন সার্ভারের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা। বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনের জন্য ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সব নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করে ইসিকে সহায়তা করা। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বর্তমান জাতীয় পরিচয়পত্র শনাক্তকারী ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ ও বিস্তৃত করা। ইসির কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়গুলোয় ছবিসহ ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচিতি সেবা বাস্তবায়নের উপযোগী আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা। জনবান্ধব জাতীয় পরিচিতি সেবা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্ষমতা বাড়ানো।