নারী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আশিক কক্সবাজারে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের প্রধান। তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে নানা অপরাধ হয়ে আসছে হোটেল-মোটেল জোনে। একাধিক মামলার আসামি ও বারবার জেলে গেলেও বেরিয়ে এসে দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায় সর্বত্র। অভিযোগ আছে ক্ষমতাসীন দলের কোনো কোনো নেতার আশ্রয় পেয়ে এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেন চিহ্নিত এই সন্ত্রাসী। তবে ধর্ষণ ঘটনার চারদিনেও ধরা পড়েনি আশিক ও তার সহযোগীরা।
আশিকুল ইসলাম ও তার সহযোগী ইস্রাফিল হুদা জয়া এবং মেহেদী হাসান বাবু এখন কক্সবাজারে আলোচিত তিন নাম। গত বুধবার এক পর্যটক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন এই তিন যুবক। এদের সবারই বাড়ি শহরের বাহারছড়া এলাকায়।
তবে ধর্ষণের ঘটনায় আলোচিত হলেও অনেক আগে থেকেই শহরে ত্রাসের নাম আশিক। সে হোটেল মোটেল জোন কেন্দ্রীক সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের প্রধান। তার বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা আছে থানায়। একাধিক মামলা আছে জয়া ও বাবুর বিরুদ্ধেও।
কিছুদিন আগে কারাগার থেকে বের হয়ে আশিক আবারও জড়িয়ে পড়েন নারীদের উত্যক্ত করা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা অপরাধে। এসব অপরাধের আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে থাকে এলাকায় এই আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল ঘর।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও স্থানীয় এমপির সঙ্গে আশিকের একাধিক ছবি। অভিযোগ উঠেছে কিছু রাজনৈতিক নেতার প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়েছেন আশিক ও তার সহযোগীরা।
১৬ মামলা মাথায় নিয়ে আশিক কী করে প্রকাশ্যে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন? জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, সে (আশিক) জেলে ছিল। সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে আবারও অপরাধে জড়িয়েছে। তার গ্যাংয়ের সদস্যদের বিষয়েও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। তবে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি তাদের আশ্রয়দাতাদেরও চিহ্নিত করার কথা বলছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
গত বুধবার সৈকতের লাবনী পয়েন্টে স্বামীর সঙ্গে ধাক্কা লাগার জেরে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে কয়েক দফায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন নারী পর্যটক। পরে খবর পেয়ে র্যাব ওই নারীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম আশিক, ইসরাফিল হুদা জয়, মেহেদী হাসান বাবু ও রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।