চীন ভারতের সঙ্গে সীমান্তে এলএসি’কে এলওসিতে পরিণত করতে চাইছে বলে সেনাকর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার। গালওয়ান ঘাঁটি থেকে প্যাংগং লেক- চীন যতটা পর্যন্ত এলাকা নিজেদের বলে মনে করে বা যেটাকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা মনে করে, সেখানেই ঘাঁটি গেড়েছে। সেনাকর্তাদের যুক্তি, তার জেরে ভারতের সেনাকেও তার উল্টো দিকে ঘাঁটি গেড়ে পাহারায় বসতে হচ্ছে। যাতে চীন আরও এগোতে না-পারে।দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার উদ্বৃতি দিয়ে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চীন চাইছে, এটাই এখন থেকে স্বাভাবিক হয়ে উঠুক। কিন্তু আমরা কোনোভাবেই তা হতে দেব না। দুই দেশের মধ্যে সামরিক স্তরে ও কূটনৈতিক স্তরের বৈঠকে ‘ডিজএনগেজমেন্ট’ বা দুই বাহিনীর পিছু হটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন দেখার, চীনের সেনা কবে পিছু হটে গিয়ে আগের অবস্থানে ফিরে যায়। চীনকে বাধ্য করানোটাই চ্যালেঞ্জ।আরও পড়ুন: ভারতের ৬৮ শতাংশ চিকিৎসকই ভুয়া!তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে এলএসি কোনো মানচিত্রে আঁকা নেই। জমিতেও চিহ্নিত করা নেই। দু্ই দেশ নিজস্ব ধারণা অনুযায়ী চলে। এ নিয়ে যাতে প্রতিদিন সংঘর্ষ না-হয়, সেই জন্যই কেউ এত দিন এলএসি-তে এসে ঘাঁটি গেড়ে বসত না। মাঝখানে ব্যবধান রেখে চলত। এখন ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা’ কার্যত ‘নিয়ন্ত্রণরেখা’ হয়ে উঠছে। চীনের সঙ্গে এলএসি-র মধ্যে পার্থক্য থাকছে না।দেশটির সামরিক বিশেষজ্ঞদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের কর্মকাণ্ডে লাদাখে এলএসি কার্যত এলওসি-র চেহারা নিয়েছে। দুই বাহিনীই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুই পাশে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে।রোববার সেনাবাহিনী, আইটিবিপি-র কর্তারা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। শুধু লাদাখেই ভারতের সেনা মোতায়েন দ্বিগুণ হয়েছে। এখন ৪০ থেকে ৪৫ হাজার সেনা রয়েছে। উল্টো দিকে চীনও ৩০ থেকে ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে।