কক্সবাজার ঘিরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে সরকার

0
19

দেশের সর্ববৃহৎ পর্যটন এলাকা কক্সবাজার ঘিরে সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ‘কক্সবাজার ঘিরে আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। দীর্ঘতম সৈকতের শহর কক্সবাজারকে সিঙ্গাপুর, ব্যাংককের আদলে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ কারণে এখানে সবচেয়ে বড় প্রকল্প চলমান রয়েছে। চলছে এক্সক্লুসিভ জোনসহ ইকোট্যুরিজম ও রেললাইনের কাজ। এসবের পূর্ণতার অন্যতম অনুষঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। স্থলের পাশাপাশি সমুদ্রের জলের ওপর রানওয়েসহ অত্যাধুনিক বিমানবন্দরটি বাস্তবায়ন হলে দিবারাত্রি ফ্লাইটে কক্সবাজার হবে ব্যস্ততম সিটি।’

কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।

রোববার (২৯ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজ উদ্বোধন করেন তিনি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারকে ঘিরে নানা স্বপ্ন দেখতেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই স্বপ্নে রয়েছে কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানে তৈরি করার পরিকল্পনাও। তার প্রচেষ্টায় ঝাউবন স্থাপন হয়েছে। তার রেখে যাওয়া পরিকল্পনারই অংশ কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ।’

কক্সবাজার হবে আধুনিক পর্যটন শহর, এ কথা জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এরইমধ্যে গড়ে উঠেছে দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। এটিকে চট্টগ্রামের মিরসরাই পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। রেললাইনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে গেছে কক্সবাজার। এসব পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে শহরটি। যেমনটা জাতির পিতা চেয়েছেন।’

ভিডিও কনফারেন্সে কক্সবাজার থেকে যুক্ত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোখলেছুর রহমান ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ।

বেবিচক জানিয়েছে, বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নয় হাজার ফুট দীর্ঘ একটি রানওয়ে রয়েছে। এটি ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করার কাজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো। এর মধ্যে এক হাজার ৩০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের বুকে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হচ্ছে এই রানওয়ে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর, ৭৪৭-৪০০ ও এয়ারবাসের মতো উড়োজাহাজ সহজেই ওঠা-নামা করতে পারবে। প্রকল্পে মোট ব্যয় হচ্ছে এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যার পুরোটাই অর্থায়ন করছে বেবিচক। এর মাধ্যমে অত্যাধুনিক বিমানবন্দরের সারিতে নাম লিখালো কক্সবাজার বিমানবন্দর।