দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস। ফলে ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের। করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২৬৬ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ৮৩৮ জনে।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। এতে নিজের বাসা থেকে সংযুক্ত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনা শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ১৯০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে আরও ২৬৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে এক হাজার ৮৩৮ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৫ জন। এতে মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৭৫। আক্রান্তদের মধ্যে আরও নয়জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি হাসপাতালে অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে। যা করোনাভাইরাসের রোগীর জন্য বেশি প্রয়োজন। তবে করোনা আক্রান্তদের ৮০ শতাংশের বেশি রোগীর কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। অন্যদের অক্সিজেন সাপোর্ট ও কিছু ওষুধ লাগতে পারে।
জাহিদ মালেক বলেন, সারাদেশে এক সপ্তাহের মধ্যে আইসিইউ সাপোর্ট নিয়েছেন ২৭ জন। অর্থাৎ, প্রায় ১ দশমিক ৮ শতাংশ রোগী আইসিইউ সাপোর্ট নিয়েছেন। এই হারে ১০ হাজার রোগী যদি আইসিইউ সাপোর্ট নেন, তাহলে ১৮০টি ভেন্টিলেটর সাপোর্ট লাগবে।
আইইডিসিআর পরিচালক ডা. ফ্লোরা জানান, আক্রান্ত এক হাজার ৮৩৮ জনের মধ্যে বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন প্রায় ৫০০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ বাড়িতে ও ৩২ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। তবে হাসপাতালে যারা ভর্তি হয়েছেন তাদের সবার ক্ষেত্রে ভর্তির প্রয়োজন ছিল না। সামাজিক চাপের কারণে তাদের বাড়িতে না রেখে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনেও বলা আছে, কেউ চাইলে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিতে পারেন, এতে হাসপাতালের ওপর চাপ কম পড়বে।