করোনার তীব্রতা কমে গেছে, দাবি এইমসের

0
240

নতুন করোনাভাইরাসের তীব্রতা কমে গেছে এবং বর্তমানে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে হালকা লক্ষণ দেখা যায়।’ করোনাভাইরাসের গতি-প্রকৃতি নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের শীর্ষ স্থানীয় মেডিক্যাল গবেষণা প্রতিষ্ঠান অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের (এইমস) পরিচালক ডা রণদ্বীপ গুলেরিয়া।

বুধবার দেশটির ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, ডা. রণদ্বীপ গুলেরিয়া বলেছেন, প্রথম দিকে যারা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের গুরুতর লক্ষণ ছিল। কারণ তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল, ভাইরাসটির বেশি বিস্তার ঘটতে পারেনি। 

এইমস’র এই প্রধানের দাবি, ভারতীয়দের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। কারণ আমাদের অধিকাংশের বিসিজি ভ্যাকসিন নেয়া রয়েছে। বর্তমানে দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে একেবারে অল্পসংখ্যক রোগী আইসিইউ কিংবা ভেন্টিলেটরে রয়েছেন। ডা. রণদ্বীপ গুলেরিয়া বলেন, ভারতে করোনাভাইরাসের কমিউনিটি সংক্রমণ না হওয়ায় হটস্পটের লোকজনকে আরও বেশি সতর্ক হওয়া দরকার।

করোনার চিকিৎসায় রেমডেসিভির এবং হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের ব্যাপারে তিনি বলেন, রেমডেসিভির রোগীর হাসপাতালে থাকার সময় কমিয়ে আনছে। কিন্তু গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে মৃত্যুহার কমাতে তেমন কোনও ভূমিকা রাখতে পারছে না। হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন মৃদু উপসর্গের করোনা রোগীদের জন্য সহায়ক। 

গত ২ জুন ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোভিড-১৯ রোগীর জরুরি চিকিৎসার জন্য রেমডেসিভির প্রয়োগের অনুমোদন দেয়। বর্তমানে মাত্র ১২ থেকে ১৩টি শহরেই দেশটির মোট রোগীর ৮০ শতাংশ পাওয়া গেছে জানিয়ে গুলেরিয়া বলেন, আমরা যদি এই হটস্পটগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, তাহলে রোগটি ভারতে সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছাতে আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। 

ভারতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ পেরিয়েছে; যা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের দ্বিগুণেরও বেশি। এছাড়া মারা গেছেন প্রায় ৬ হাজার মানুষ।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটিতে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার হার ৪৮ দশমিক ৩১ শতাংশ। আক্রান্ত ২ লাখ ৮ হাজার ৮০০ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৬০২ জন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনার উৎপত্তি হওয়ার পর বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনে ৪ হাজার ৬৩৪ জনের প্রাণ কাড়লেও এই ভাইরাস বিশ্বে প্রাণহানি ঘটিয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ লাখ ৮২ হাজারের বেশি মানুষ।