করোনার মধ্যেও ৮৫ সাংবাদিকের ওপর ডিজিটাল মামলার খড়গ: টিআইবি

0
15

মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যে সরকারের ভূমিকা নিয়ে লেখালেখির কারণে সারা দেশে ৮৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। এছাড়া একই কারণে আটক একজন লেখকের কারাবন্দী অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।: কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সেই গবেষণাপত্র উপস্থাপনের সময় এসব তথ্য উঠে আসে। গবেষণাপত্র উপস্থাপনে একটি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংস্থাটির রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি রিসার্চ ফেলো মো. জুলকারনাইন গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন। এ সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড.গবেষণায় বলা হয়, ২০২০ সালে সারা দেশে মোট ২৪৭ জন সাংবাদিক আক্রমণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে করোনাভাইরাসের মধ্যে সরকারের ভূমিকা নিয়ে লেখালেখির কারণে ৮৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা এবং একই আইনের মামলায় কারাবন্দী একজন লেখকের মৃত্যু হয়েছে।এ সময় স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন করার আক্রোশে একজন সাংবাদিককে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩-এ মামলা দায়ের ও কারাগারে পাঠানোর প্রসঙ্গও উঠে আসে।এছাড়া করোনার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শৈথিল্য লক্ষ্য করা গেছে মন্তব্য করে টিআইবি পক্ষ থেকে বলা হয়, দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তিমালিকানাধীন কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আইনের আওতায় আনা হয়নি।সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমেও সুশাসনের প্রতিটি নির্দেশে ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। আইনের লঙ্ঘন করে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় টিকা আমদানির মাধ্যমে জনগণের টাকা থেকে তৃতীয় পক্ষের লাভবান হওয়া সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। টিকাদান পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সমন্বয়ের ঘাটতি, অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীকে পরিপূর্ণভাবে টিকার আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদ্যোগের ঘাটতি ও সম প্রবেশগম্য টিকা কার্যক্রম নিশ্চিত না করার ফলে অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য ঝুঁকিপূর্ণ ও সুবিধাবঞ্চিত অনেক জনগোষ্ঠী টিকার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।