করোনা আক্রান্ত ওমর আলীর পরিবারের পাশে পায়েল ফাউন্ডেশন

    0
    195

    করোনা আক্রান্ত ওমর আলী (৫০) এর পাশে দাড়িয়েছে পায়েল ফাউন্ডেশন।

    সম্প্রতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে দুই সপ্তাহ চলার মতো খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী তুলে দেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফাহাদ চৌধুরী দিপু।

    ওমর আলীর নগরির উত্তর কাট্টলীতে অবস্থিত গারটেক্স গার্মেন্টের কমার্শিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিল। (গত ৮ এপ্রিল তিনি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হন। এর এক সপ্তাহ পর তাঁর ৬ সদস্যের পরিবারের আরও ৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের একই ওয়ার্ডে। শুধু পরিবারের সর্ব কনিষ্ঠ সদস্য সাড়ে ৩ বছরের মেয়েটি বেঁচে যান করোনার ভয়াল থাবা থেকে।) তবে এই পরিবারের করোনা আক্রান্ত ৫ সদস্যই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

    ওমর আলী পায়েল ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিস থেকে প্রতিনিয়তই খোঁজ নেওয়া হয়েছে। আর খোঁজ নিয়েছেন কয়েকজন সংবাদকর্মী। তাঁদের কাছ থেকে আমি যে সহযোগিতা পেয়েছি তা কোনদিন ভুলবো না। আর পায়েল ফাউন্ডেশন এমন এক সময় এগিয়ে এসেছেন যখন আমার পরিবার অনেকটা স্বেচ্চা গৃহবন্ধি। তাঁরা মানবতার সেবায় যেভাবে এগিয়ে এসেছেন সেজন্য তাঁদের প্রতি আমি ও আমার পরিবার কৃতজ্ঞ।’

    পায়েল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফাহাদ চৌধুরী দিপু বলেন, ‘এমন দূর্যোগের সময় বিপন্ন মানুষের প্রতি সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসা মানবিক দায়িত্ব। সেই মানবিকতার ডাকেই আমরা সাড়া দিয়েছি। শুনে অভাক হয়েছি যে পরিবারটির এমন বিপদের দিনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোন সহযোগিতা পাননি। অথচ সরকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে।’ পায়েল ফাউন্ডেশন ভবিষ্যতেও পরিবারটির পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

    এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনার ভয়াবহতার মধ্যেও পুরো পরিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় স্বস্থি প্রকাশ করলেও চিকিৎসকের নিদের্শনা মেনে তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন পালন করতে হচ্ছে। এদিকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর গত এক মাসে স্থানীয় সেভাবে কেউ খবর নেননি পরিবারটির। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর পাড়া প্রতিবেশীরাও জানতে চাননি তারা কেমন আছেন? সবার মনেই ভয়। যেন অপরাধ করেছে পরিবারটি।

    পাহাড়তলী থানা থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ((ওসি) এসে দুই দফায় চাল, ডাল, তেলসহ কিছু খাদ্যসামগ্রী দিয়ে গেছেন। ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিংবা জনপ্রতিনিধিদের কেউ একটু খবর পর্যন্ত নেওয়ার প্রয়োজনবোধ করেনি বলে জানান ওমর আলী।