রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, পুরোনো কালুরঘাট সেতু মেরামত করা হচ্ছে। মার্চের মাঝামাঝিতে এ সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে।
নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণে ৪ থেকে ৫ বছর সময় লাগবে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের রেস্ট হাউসে রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রেল এক সময় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। রেললাইন উপড়ে ফেলা হচ্ছে।
ট্রেনে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এরপরেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলকে ঢেলে সাজাচ্ছেন।
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা রেল যোগাযোগের আওতায় নিয়ে আসার কাজ করছেন। গ্রামীণ কৃষকদের উৎপাদিত ফসল যাতে ট্রেন যোগে শহর পর্যন্ত চলে আসে, প্রান্তিক কৃষক যেন যথাযথ মূল্যে ফলফলাদি ও সবজি বিক্রি করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছি৷
রেলমন্ত্রী বলেন, রেলকে সচল করার চেষ্টা করবো। অনেক স্থানে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেগুলো স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা রয়েছে। কক্সবাজার রুটে আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি কমিউটার ট্রেন চালু করা হবে। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা সেটা হলো লোকো মাস্টার সমস্যা। লোকো মাস্টার নিয়োগ হলে আমরা খুব শিগগিরই এ রুটে আরও কিছু ট্রেন চালু করবো।
তিনি আরও বলেন, আমি নতুন হলেও চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। রেল নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে পরিকল্পনা সেটি আমি বাস্তবায়ন করবো। রেলের পঙ্গু অবস্থা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। সকলের সহযোগিতায় রেল ব্যবস্থাকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে চাই। ইতোমধ্যে রেলকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে পাঁচ হাজারের উপরে লোকবল নিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অনেকগুলো ইঞ্জিন ও কোচ আমদানি করা হচ্ছে। কিছু আমদানি হয়েছে। এসব ইঞ্জিন রেল বহরে যুক্ত হলে রেলে ইঞ্জিন সংকটে দূর হবে।