করোনার নামে স্বাধীনতা ও শান্তি কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি স্বৈরাচারী আচরণের অভিযোগে মের্কেল প্রশাসনের বিরুদ্ধে আবারো সমাবেশ হয়েছে। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আটক করা হয় ২ শতাধিক আন্দোলনকারীকে। জার্মানিজুড়ে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যেও বুধবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানী বার্লিনে করোনাবিরোধী সমাবেশ করেছেন সাধারণ নাগরিকরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, অ্যাঙ্গেলা মের্কেল সরকার করোনা ভাইরাসের নামে ছলচাতুরী করে সাধারণ জনগণকে দাবিয়ে রেখে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার পরিকল্পনা করছে।বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক নারী বলেন, কিসের করোনা কিসের কি? সরকার থেকে সঠিক কোন তথ্য কিন্তু আমরা পাচ্ছিনা। আর করোনায় সংক্রমণের নামে প্রতিদিন আমাদের যে সংখ্যাটা বলা হচ্ছে এটার মাধ্যমে ভয় লাগিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন।এক যুবক বলেন, সমাবেশে আসার মূল কারণ আমি জানতে চাই করোনার নামে আমার অধিকার কেউ হরণ করছে না তো?এক নারী বলেন, আরে ভাই কেন বুঝতে পারছেন না, করোনার টিকা তৈরির নামে প্রশাসন কিভাবে লুটপাট করছে? সত্যি বলতে কি করোনাই যখন নাই তখন টিকা দিয়ে কি হবে?বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এ সময় পেপার স্প্রে ও জলকামান ব্যবহারের পাশাপাশি লাঠিচার্জও করে পুলিশ। আটক করা হয় ২০০’র এর বেশি বিক্ষোভকারীকে।আর পুলিশ কর্মকর্তা থিলো কাবলিটজ বলেন, দেখুন সমাবেশে যারা এসেছেন তাদের বেশীরভাগেরই মুখে কোন মাস্ক নাই, শারীরিক দূরত্বও কেউ বজায় রাখেনি। করোনার এমন ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যে এরকম বিক্ষোভের অনুমোদন তো আমরা দেইনি। প্রায় সবাইকে আমরা বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছি কেউ না মানায় জলকামান ও মরিচের স্প্রে মারা ছাড়া কোন উপায় ছিল না। সরকারের বিধিনিয়ম রক্ষা করার দায়িত্ব তো আমাদের নাকি?বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দুশোর বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন তৎপর।