থমকে আছে বাসের চাকা, জীবন কি থমকে থাকে? স্কুল শিক্ষক রকিবুল ইসলাম। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে যাবেন কর্মস্থল সাভারে। কিন্তু বাস বন্ধ হওয়ায় বেজায় বিপাকে। বিকল্প বাহন যখন খুঁজছেন তখনও যাপিত জীবনের রাজ্যের চিন্তার ভাঁজ কপালে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বন্ধ-বাস-ট্রাক কাভার্ড ভ্যান সব কিছু। যোগাযোগ নির্ভর জীবনের ছন্দে তাই ছেদ পড়েছে। বাজেটের অতিরিক্তি গাঁটের পয়সা খরচে বাধ্য হচ্ছেন মধ্যবিত্ত মানুষটিও।
তেলের দাম লিটারে বেড়েছে এক লাফে ১৫ টাকা। তাই মালিকরাও নিজেদের সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক বলে মানছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দুই দফা বৈঠকেও সমাধান মেলেনি। জ্বালানি তেলের দাম ও গণপরিবহনের ভাড়া সমন্বয় করা না হলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে না। এমন ঘোষণা দিয়েছে মালিকপক্ষ।
বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রাকেশ ঘোষ জানান, এভাবে দাম না বাড়িয়ে ধাপে ধাপে বাড়ানোই বরং যৌক্তিক হতো।
এদিকে চলবে না লঞ্চও। তাদেরও দাবি, দাম কমাতে হবে অথবা ভাড়া বাড়িয়ে সমন্বয় করতে হবে।
তবে শেষ বেলায় খরচের খড়গ নামে সাধারন মানুষেরও ওপরই। যাদের নাভিশ্বাস ওঠে বাজেটের খতিয়ান মেলাতে।