চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে তাহের আজাদ প্যানেলে বিজয়ী

0
22

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে প্রফেসর ডা. এম এ তাহের খান-সৈয়দ মো. মোরশেদ হোসেন-মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ-অধ্যক্ষ ড. লায়ন মোহাম্মদ সানাউল্লাহ পরিষদ প্রায় পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী হয়েছেন।  

প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল থেকে শুধু একজন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন। 

এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলে।নির্বাচনে দুটি প্যানেল থেকে ৫২ জন এবং স্বতন্ত্র ৩ জন মিলে মোট ৫৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। হাসপাতালের মহিলা হোস্টেলে স্থাপিত ৩১টি বুথে ডোনার মেম্বার এবং লাইফ মেম্বারদের ভোট গ্রহণ করা হয়।

মোট ৯ হাজার ৭২৪ জন লাইফ মেম্বারের মধ্যে ৪০০৩ জন এবং ৩২৩ জন ডোনার মেম্বারের মধ্যে ১৪০ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। একজন লাইফ মেম্বার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিসহ ২০ জন কর্মকর্তা নির্বাচিত করতে ২০টি ভোট প্রদান করেছেন। আর একজন ডোনার মেম্বার দুটি ভোট প্রদান করে কার্যকরী পরিষদের দুজন সদস্য নির্বাচিত করেন। ডোনার ক্যাটাগরিতে ডা. এম এ তাহের খান-রেজাউল করিম আজাদ প্যানেল থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডোনার) সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন এবং জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি (ডোনার) সৈয়দ মোহাম্মদ আজিজ নাজিম উদ্দীন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। 

প্রেসিডেন্ট পদে ডা. এম এ তাহের খান ২৪১৩ ভোট পেয়ে এবং জেনারেল সেক্রেটারি পদে রেজাউল করিম আজাদ ২৪৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদে ডা. আঞ্জুমান আরা ইসলাম ১৫১৯ ভোট এবং জেনারেল সেক্রেটারি পদে ডা. মোহাম্মদ আরিফুল আমীন পেয়েছেন ১৩৬৪ ভোট। 

বিজয়ী প্যানেল থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে আবদুল মান্নান রানা (২৮৫৪ ভোট), ইঞ্জিনিয়ার লায়ন মোহাম্মদ জাবেদ আবছার চৌধুরী (২৫৭৮ ভোট), ডা. মোহাম্মদ পারভেজ ইকবাল শরীফ (২৫১৮ ভোট), জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর (২৬৬২ ভোট), ট্রেজারার পদে অধ্যক্ষ লায়ন মোহাম্মদ সানাউল্লাহ (২৫৮৩ ভোট), জয়েন্ট ট্রেজারার পদে লায়ন এস এম কুতুব উদ্দীন (২৫৭৩ ভোট), অর্গানাইজিং সেক্রেটারি পদে মোহাম্মদ সাগির (২৮৩৯ ভোট), স্পোর্টস অ্যান্ড কালচারাল সেক্রেটারি পদে মোহাম্মদ আহছান উল্লাহ (২০৫১ ভোট), কার্যকরী পরিষদের ১০ জন মেম্বার পদে ডা. আবু তৈয়ব (২৫৫১ ভোট), ডা. কামরুন নেসা রুনা (২৫৫০ ভোট), মোহাম্মদ আলমগীর পারভেজ (২২১৫ ভোট), ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ (২১৩৪ ভোট), খায়েশ আহমদ ভুঁইয়া (১৯৭৬ ভোট), ডা. ফজল করিম বাবুল (১৯১৮ ভোট), ডা. মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন শরীফ (১৮৮৯ ভোট), মোহাম্মদ হারুন ইউসুফ (১৮১৩ ভোট), এ এস এম জাফর (১৭৬১ ভোট) এবং ছৈয়দ ছগীর আহমদ (১৬৭৭ ভোট) পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এই প্যানেলের এম জাকির হোসেন তালুকদার ১৬৪৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। 

অপরদিকে ডা. আঞ্জুমান আরা-ডা. আরিফুল আমীন-মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম প্যানেল থেকে কেবলমাত্র ছৈয়দ ছগীর আহমদ কার্যকরী পরিষদের দশম সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এই প্যানেলের আর কেউ নির্বাচিত হননি।  

এই প্যানেল থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে আবুল হোসেন ১২৯৮ ভোট, ডা. এম মাহফুজুর রহমান ১৫৪৭ ভোট, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি পদে রেখা আলম চৌধুরী ১১৮০ ভোট, ট্রেজারার পদে মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম ১৩৩০ ভোট, জয়েন্ট ট্রেজারার পদে ডা. মোহাম্মদ লিয়াকত আলী ভূঁইয়া ১৩২৬ ভোট, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি পদে মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ১০৫৮ ভোট, স্পোর্টস অ্যান্ড কালচারাল সেক্রেটারি পদে মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান ১৮৩৯ ভোট পেয়েছেন।  

এই প্যানেল থেকে লাইফ মেম্বার ক্যাটাগরির মেম্বার পদে নাজমুল হক ১৪২৭ ভোট, ওসমান গনি মনসুর ১৩৩১ ভোট, ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি ১৩২৩ ভোট, ডা. হোসেন আহমদ ১২৯৯ ভোট, এয়াছিন চৌধুরী ১২৪২ ভোট, মোহাম্মদ রাশেদুল আমীন ১২২৪ ভোট, নুর নবী লিটন ১১৬৫ ভোট, গোলাম বাকি মাসুদ ৮৮৪ ভোট, নাজমুল করিম চৌধুরী ৭৪০ ভোট পান। স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে মাহমুদুর রহমান শাওন ৯৩৫ ভোট, লায়ন মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ৭৫৪ ভোট, হাজী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ৬৩৫ ভোট, ইঞ্জিনিয়ার মাশুকুর রহমান ৪১৯ ভোট, এসএম হাসান উদ্দীন ৩২৬ ভোট, সেলিম হোসেন চৌধুরী ২৮২ ভোট এবং নুর মোহাম্মদ চৌধুরী ১৬৮ ভোট পান। 

নির্বাচনে ডোনার মেম্বারের দুটি পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মাঝে প্রফেসর এম এ তাহের খান-রেজাউল করিম আজাদ প্যানেলের মোহাম্মদ শহীদ উল্ল্যাহ (১২৩ ভোট) এবং ড. ইঞ্জিনিয়ার রশীদ আহমদ চৌধুরী (১১৯ ভোট) নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ডা. আঞ্জুমান আরা ইসলাম-ডা. মোহাম্মদ আরিফুল আমীন পরিষদের লায়ন ডা. দুলাল দাশ পেয়েছেন ১৪ ভোট।