জলদস্যুতার সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন

0
18

সাগরে জলদস্যুতার অপরাধে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে আইন সংশোধনের প্রস্তাব সংসদের অনুমোদন পেয়েছে।

সংশোধিত আইনে জলদস্যুতা, সশস্ত্র চুরি, সমুদ্র সন্ত্রাস করতে গিয়ে কেউ খুন করলে তার মৃত্যুদণ্ড হবে।  আর জলদস্যুতা বা সমুদ্র সন্ত্রাসের শাস্তি হবে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।  এছাড়া দস্যুতা করে যা সে লুট করবে, তার জন্য জরিমানা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন রোববার ১৯৭৪ সালের ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোন’ আইন সংশোধনের জন্য ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন।  পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বিল পাস হওয়ায় অভ্যন্তরীণ জলসীমা ও রাষ্ট্রীয় জলসীমা, ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানে সমুদ্র সম্পদের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার আইনি স্বীকৃতি পেল।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

রাষ্ট্রীয় জলসীমায় কোনো বিদেশি জাহাজে অপরাধ সংগঠিত হলে অপরাধী গ্রেপ্তার ও তদন্ত পরিচালনায় এ আইন প্রযেজ্য হবে।

আগের আইনে সামুদ্রিক দূষণের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান ছিল।  সংশোধিত আইনে তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বনিম্ন দুই কোটি টাকা থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।