জলাবদ্ধতার নিরসন আমার কাজ না সিডিএ এর কাজ চসিক মেয়র

0
34

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘মানুষ শুধু শুধু জলাবদ্ধতা নিয়ে সিটি করপোরেশনকে গালিগালাজ করছে। অথচ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে, সেটা করছে সিডিএ (চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোনো হাত নেই।’ শনিবার (৫ আগস্ট) নিজ বাসভবনের সামনে অপেক্ষমাণ সংবাদকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।

টানা বৃষ্টিপাতের মধ্যে চসিক মেয়রের বাসভবন এখনও পানিবন্দি হয়ে আছে। তবে এই অবস্থার দ্বিতীয় দিনে মেয়র রিকশায় চড়ে বাসা থেকে বের হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন এবং পরে আবার রিকশাযোগে বাসায় ফিরেছেন। 

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতভর বৃষ্টিপাতের পর নগরীর বহদ্দারহাটে মেয়রের বাসভবনের উঠোন ও নিচতলা হাঁটু পানিতে ডুবে যায়। শুক্রবার কার্যত মেয়র পানিবন্দি বাসায় আটকা ছিলেন। শনিবারও বাসভবন পানিবন্দি থাকলেও সকালে মেয়র বের হন। 

জানা গেছে, শনিবার সকালে মেয়র বাসা থেকে বের হয়ে রিকশায় চড়ে সামনের সড়ক পার হয়ে মূল সড়কে ওঠেন। মূল সড়কে পানি ছিল না। সেখান থেকে তিনি করপোরেশনের গাড়িতে করে কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান। মেয়র নগরীর টাইগাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে গিয়ে প্রয়াত শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

মেয়র যখন বাসা থেকে বের হন তখনও উঠোনে এবং বাসার নিচতলায় প্রায় হাঁটু পানি ছিল। সড়কেও ছিল হাঁটু পরিমাণ পানি। মেয়রকে অবশ্য বাসা থেকে বের হয়ে খানিকটা পানি মাড়িয়ে রিকশায় উঠতে হয়েছে এবং একইভাবে বাসায় ঢুকতে হয়েছে। সকাল থেকে মেয়রের বাসার সামনে অপেক্ষমাণ ছিলেন একদল সংবাদকর্মী। রিকশা থামিয়ে মেয়র তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

Advertisement

রিকশায় বসে মেয়র বলেন, ‘মানুষ শুধু শুধু জলাবদ্ধতা নিয়ে সিটি করপোরেশনকে গালিগালাজ করছে। অথচ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে, সেটা করছে সিডিএ (চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোনো হাত নেই। আমি বারবার বলেছি, আপনারা ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করুন। কিন্তু তারা এ পর্যন্ত কি একজন কাউন্সিলরকে কখনও ডেকেছে? সিডিএ তাদের নিজেদের মতো করেই কাজ করছে। সুতরাং এখানে আমাদের অর্থাৎ সিটি করপোরেশনের কোনো এনগেজমেন্ট নেই।’

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ৬৬ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। আমবাগান আবহাওয়া অফিস ৮৬ মিলিমিটিার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।