এখনও এসএমএসের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে ডিমের বাজার। এ চক্রকে থামানো না গলে ডিমের দাম আরো বাড়বে বলে অভিযোগ খামারিদের। এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান, ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোক্তা অধিদপ্তরে ডিমের বাজার নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
যৌক্তিক কারণ ছাড়াই এক মাস ধরে অস্থিতিশীল ডিমের বাজার। দাম বেড়ে ডিমের ডজন ওঠে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তৎপরতায় প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়।
মঙ্গলবার ডিমের বাজার নিয়ে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় আয়োজন করে ভোক্তা অধিকার। ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কম, তাই তাদের সিন্ডিকেট করার সুযোগ নেই।
তবে খামারিদের দাবি, এসএমএসের মাধ্যমে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। ভোক্তা অধিদপ্তরের দাবি, যারা এসএমএসের মাধ্যমে ডিমের বাজার অস্থির করছে তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, ‘যারা এসএমএসের মাধ্যমে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা এখানে বসে যা করছে তা ফৌজদারি অপরাধ। আমি একটা মেসেজ দিচ্ছি, এই জিনিসটা ভেঙে দেব, প্রয়োজনে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেব। তাদের কথায় বা এসএমএসের মাধ্যমে যে ব্যবসা চলছে তা চলবে না।’
পাইকারি ও খুচরায় মূল্যতালিকা টানানো বাধ্যতামূলক হলেও মানে না কেউ। এটি মানা ছাড়াও ব্যবসায়ীরা পাকা ভাউচার না রাখলে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি ভোক্তা অধিদপ্তরের।