তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে দুই যুবক খুন

    0
    177

    চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাংয়ের হাতে দুই যুবক খুন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) রাতে পৌরসভাধীন ৫নম্বর ওয়ার্ডের ভূঁইয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

    নিহতরা হলেন- পৌরসভার আমিরাবাদ গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে মোঃ জাহিদ (২৪) ও ভূঁইয়াপাড়া এলাকার নায়েব আলীর ছেলে মো. শাহীন (২২)। পুলিশ ও এলাকার কাউন্সিলর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৯ম শ্রেণির এক ছাত্র ইরফানের মুখে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ে অপর এক কিশোর। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। ২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার এ নিয়ে ভূঁইয়াপাড়া মুছার ঘাটা এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সালিশী বৈঠকের কথা ছিল। সেখানে ইরফানের পক্ষে বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়া জাহিদ ও শাহীনকে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা ধারালো ছোরা দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতেই তারা দুই জন মারা যায়।

    ঐ এলাকা পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিউল আলম মুরাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রের মুখে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ার ঘটনা নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্ধের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি বৈঠক হবার কথা ছিলো। সে বৈঠকে যাবার পথে জাহিদ ও শাহীনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। রাতে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়।

    এদিকে আজ শুক্রবার সকালে এ মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনাস্থলে ছুটে যান সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন মোল্লা, ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ, ওসি (ইন্টিলিজেন্স) সুমন বণিকসহ পুলিশ সদস্যরা।

    ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা ও ওসি (ইন্টিলিজেন্স) সুমন বণিক জানান, কিশোর গ্যাংয়ের বখাটে একটি ছেলে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রের মুখে সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে দেওয়ায় মারামারি হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা বৈঠকে এটি মীমাংসার সিদ্ধান্ত নেয়। এক বড় ভাই বৈঠক করার কথা। ছাত্রের পক্ষে সেখানে যাবার সময় জাহিদ ও শাহীন প্রতিপক্ষ কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে আহত হয় এবং গভীর রাতে তারা চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

    ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা আরো বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।