সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করেছি সেনাবাহিনীর তরফ থেকে যে ধরণের সাহায্য দরকার তা করা হবে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, ১৩ দিনের জন্য, ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের আলোচনা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ হাজারের বেশি সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার যদি বেশি প্রয়োজন হয়, সেভাবেই মোতায়েন করা হবে।
সেনাবাহিনী কী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। প্রারম্ভিক একটি আলোচনা হয়েছে। আমরা কিভাবে কাজ করবো, কতোজন ফোর্স দিতে পারবো এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ১৭ ডিসেম্বর। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন। এরপর নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। সবশেষ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।
ইসি সূত্রে জানা যায়, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি করে আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।