প্রথম দফার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত না মেনে অনেকেই হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী। এরই মধ্যে ঘোষণা হয়েছে দ্বিতীয় দফার স্থানীয় সরকার নির্বাচনের তফসিল। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ।
বারবার হুঁশিয়ারির পরও কী ঠেকানো গেছে বিদ্রোহ? আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, শীর্ষপর্যায় থেকে নির্দেশের পর কমেছে এমন প্রার্থীর সংখ্যা। ১১ নভেম্বর হবে ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট। এতে চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন চান ৪ হাজার ৪৫৮ জন।
দলটির নীতি-নির্ধারকদের হুঁশিয়ারি, মতভেদ থাকলে আলোচনায় হবে সমাধান। কিন্তু নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে কাজ করলে কঠোর ব্যবস্থা।
আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম জানান, শৃঙ্খলা ফেরাতে ইতোমধ্যে কার্যনিবাহী সভায় জননেত্রী শেখ হাসিনা সিদ্বান্ত নিয়ে তা কার্যকর করেছেন। এবার অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ করলে বিদ্রোহ প্রার্থীর প্রবণতা কমে যায়।
আর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পদাক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, যারা দীর্ঘ দিন ধরে দলের সঙ্গে আছেন, ত্যাগী, যাদের ইমেজ ভাল এবং সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন, তাদের আমরা মনোনয়ন দিয়ে থাকি। এছাড়া যারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধ বারবার করতে থাকে, তাহলে দল তাদের বিরুদ্বে কঠোর সিদ্বান্ত নেব।
স্থানীয় নির্বাচনের পাশাপাশি সংসদ নির্বাচনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল। নজর রয়েছে বিএনপি এবং তার মিত্রদের কার্যক্রমের দিকেও। ২০ দলীয় জোটে অস্থিরতা প্রসঙ্গে নেতাদের মন্তব্য, স্বার্থের দ্বন্দ্ব ও হতাশা থেকে সম্পর্কে ফাটল।