চিত্রনায়িকা পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড দেয়া দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। রোববার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে ক্ষমা প্রার্থনা করে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেন তারা। দুপুর ২টায় এ বিষয়ে শুনানি হবে।
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর পরীমণিকে এ ঘটনায় দুই বিচারককে আবার লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড দেয়া নিম্ন আদালতের উভয় বিচারকের পেশ করা ব্যাখ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ‘লিখিত ব্যাখ্যায় হাইকোর্টকে শিক্ষা দিয়েছেন তারা। আমরা এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নই। এতে আমাদের হেয় করা হয়েছে।’
গত ২ সেপ্টেম্বর অভিনেত্রীকে দফায় দফায় রিমান্ড দেয়ায় সংশ্লিষ্ট বিচারকদের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন আদালত। এছাড়া পরীমণির বিরুদ্ধে বনানী থানায় করা মাদক মামলার সব নথি এবং কেস ডকেটও তলব করা হয়।
গত ২৯ আগস্ট উচ্চ আদালতের রায় না মেনে এ মামলায় পরীমণিকে বারবার নেয়া রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন এ আবেদন করেন।
গত ১৯ আগস্ট রাজধানীর বনানী থানায় করা মামলায় পরীমণির তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান।
গত ২৬ আগস্ট জামিন না দিয়ে পরীমণির আবেদন শুনানি প্রশ্নে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এতে মাদক মামলায় তার আবেদন পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
একইসঙ্গে পরীমণির জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে নিম্ন আদালতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা-ও জানতে চাওয়া হয়।এর আলোকে গত ৩১ আগস্ট তাকে জামিন দেন বিচারিক আদালত।