সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনার অন্তর্বতী সরকার কাজ শুরু করেছে।
‘অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা’ নামে-বেনামে কে কত টাকা ঋণ আত্মসাৎ করেছে, সেটি খতিয়ে দেখো হচ্ছে।
একই সঙ্গে, বিদেশ থেকে অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা চেয়ে সরকার ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছে।
বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় বার্তা সংস্থা ‘বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা’ (বাসস)।
“কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তা বিদেশে পাচার করেছেন, যার সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলমান,” খবরে বলা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, “ব্যাংকসমূহের নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইউই, সিআইডি ও দুদকের সহায়তা নিয়ে আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ ও বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে।”
শিগগিরই ব্যাংকিং কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে খবরে বলা হয়েছে, কমিশন সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যাংকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করবে এবং ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠনের জন্য ছয়মাসের মধ্যে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে।
দেশে-বিদেশে পাচার ও আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকারও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যাপক ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।