পাঠানটুলির কাউন্সিলর প্রার্থী কাদের গ্রেফতার

    প্রতিপক্ষের প্রচারণায় হামলা

    0
    107

    খুনের ঘটনায় গ্রেফতার নয় : পুলিশ

    স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : : চট্টগ্রামের ২৮ নং পাঠানটুলি ওয়ার্ডের আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া বারোটায় তাকে গ্রেফতার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

    আব্দুল কাদের ২৮ নং পাঠানটুলি ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চত করেছেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদ্বিপ কুমার দাশ। তিনি জানান ডিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলাটি ডিবি তদন্ত করবে বলেও জানান তিনি।

    কাদেরের সাথে ২৬ জনকে গ্রেফতার কথা জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের একটি সুত্র।

    মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী বাহাদুরের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনায় একজন নিহত হয়। এই ঘটনায় আরো একজন গুলিবিদ্ধ হয়৷ ঘটনার পরপরই পুলিশ তৎপর হয়ে তাকে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে।

    ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের মগপুকুর পাড় এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর এবং বিদ্রোহী আবদুল কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে রাত ৮টার দিকে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি শুরু হয়। একপর্যায়ে দু’জন গুলিবিদ্ধ হলে একজন মারা যান।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘একজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তিনি গুলিবিদ্ধ ছিলেন। পরে তাকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

    নজরুল ইসলাম বাহাদুর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং পাঠানটুলি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। ২০১০ সালে তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী আবদুল কাদেরের কাছে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।

    জানতে চাইলে আ. লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘আমি মোগলটুলি এলাকায় গণসংযোগ করছিলাম। সেখানে আমি মেয়র প্রার্থী রেজাউল ভাইয়ের নির্বাচনী কার্যালয়ে কিছুক্ষণ বসি। পরে আমি নজির ভাণ্ডার লেইনে গণসংযোগ করতে যাই। হঠাৎ করে বৃষ্টির মতো গুলি শুরু করে সন্ত্রাসীরা। আবদুল কাদেররের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলার পাশাপাশি গুলিবর্ষণ করে। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবুল নামে আমার একজন কর্মী নিহত হয়েছেন। মাহবুব নামে আমার আরেকজন কর্মী আহত হয়েছেন।’