স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্থায়ীভাবে মাদকনির্মূলে সরবরাহ উৎস বন্ধ করতে হবে। বুধবার (১০ জুলাই) সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘মাদকাসক্তি- অপরাধ নাকি মানসিক রোগ ও এর প্রতিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বাংলাদেশে মাদক প্রবেশ করছে। তবে কেন মাদকের প্রবেশ পথগুলো বন্ধ করতে পারছি না? আমাদের আগে প্রবেশ পথগুলো চিহ্নিত করতে হবে। পাশাপাশি মাদক কারবারে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ব্যাপক সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে মাদকের ক্ষতিকারক দিকগুলো আলোচনার পাশাপাশি সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা ও বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রম বাড়াতে হবে। মাদকের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি সম্পর্কে জানাতে হবে।
এ সময় মন্ত্রী জানান, একটি নগরে যেমন ২৫ শতাংশ সড়ক ব্যবস্থা থাকা জরুরি তেমনি ড্রেনেজ, খেলাধুলা ও বিনোদনের জন্য ১৫ শতাংশ এলাকা থাকা উচিত। কিন্তু ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে পর্যাপ্ত বিনোদন কেন্দ্র, খেলার মাঠের সংকট আছে। যার ফলে উঠতি বয়সীরা সময় কাটাতে সহজেই মাদকাসক্ত হচ্ছেন।
এথেনা লিমিটেডের আয়োজনে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য জারা জাবিন মাহবুব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, বরেণ্য সাংবাদিক ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, বিশিষ্ট চিকিৎসাবিদ ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মেহের আফরোজ শাওনসহ আরও অনেকে। এতে সভাপতিত্বে করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম।