পুলিশকে ‘শৃঙ্খলা বাহিনীর’ সংজ্ঞা থেকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব

    0
    13

    জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন-২০০৯ এর সংশোধনীতে ‘শৃঙ্খলা বাহিনী’র সংজ্ঞা হতে পুলিশ বাহিনীকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।_HEREএর ফলে মানবাধিকার কমিশন সাধারণ নিয়মে পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত ও অনুসন্ধান করতে পারবে বলে সংশোধন প্রস্তাবে যুক্তি উত্থাপন করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে অধিকতর কার্যকর ও শক্তিশালী করতে কমিশনের প্রস্তাবিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯-এর সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সময় কমিশনের পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাব করা হয়।EREআইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ‘আইনি গবেষণার মাধ্যমে তারতম্যমূলক আইন ও নীতি চিহ্নিতকরণপূর্বক তা সংস্কার শীর্ষক প্রকল্প’ এর উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।সভায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন বিধান সংশোধনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: (১) ‘শৃংখলা বাহিনী’ এর সংজ্ঞা হতে পুলিশ  বাহিনীকে বাদ দেয়া, ফলে মানবাধিকার কমিশন সাধারণ নিয়মে পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত ও অনুসন্ধান করতে পারবে।(২) কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ১ জনের পরিবর্তে ৩ জন করার প্রস্তাব। (৩) কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের মেয়াদ ৩ বছরের পরিবর্তে ৫ বছর করার প্রস্তাব। (৪) কমিশনের অবৈতনিক সদস্যগণ আর্থিক সুবিধা ব্যতীত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের মর্যাদা প্রদানের প্রস্তাব। (৫) কমিশন কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষমতা। (৬) কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন, ভাতা, চাকরির সুবিধাদি সরকারি কর্মচারীদের অনুরূপ করার প্রস্তাব। (৭) কমিশনের ‘সচিব’ পদনামের পরিবর্তে ‘মহাপরিচালক’ পদনাম করার প্রস্তাব এবং (৮) কমিশনের তহবিল সংক্রান্ত  বিধান বাতিলের প্রস্তাব।প্রস্তাবিত উল্লিখিত সংশোধনীসমূহের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার কমিশনকে আরও কার্যকর ও শক্তিশালীকরণের উদ্দেশ্য আনীত প্রস্তাবসমূহ সময়োপযোগী। তবে, কতিপয় প্রস্তাব, বিশেষ করে- ‘শৃংখলা বাহিনী’ এর সংজ্ঞা হতে পুলিশ  বাহিনীকে বাদ দেয়া, কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ১ জনের পরিবর্তে ৩ জন করার প্রস্তাব; চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের মেয়াদ ৩ বছরের পরিবর্তে ৫ বছর করার প্রস্তাব; অবৈতনিক সদস্যগণ আর্থিক সুবিধা ব্যতীত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের মর্যাদা প্রদানের প্রস্তাব; কমিশন কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষমতা প্রদানের প্রস্তাবের সাথে সরকারের নীতি নির্ধারণী বিষয় জড়িত। সভায় কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন, ভাতা, চাকরির অন্যান্য সুবিধা সংক্রান্ত সংশোধনী প্রস্তাব যাচাই-বাছায়ের জন্য লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের  সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম,  লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের  সার্বক্ষণিক ও  অবৈতনিক সদস্যগণ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এবং জাতীয় মানবাধিকার  কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।