নেত্রকোনার কেন্দুয়া সীমানায় পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন আব্দুল হালিম মিয়া নামের এক যুবক। এ ঘটনার তিনদিন পর নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ পাওয়া গেছে।রোববার (১৪ জুলাই) সকালে মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের চন্দ্রতলার পশ্চিমপাশে কৈজানি নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হালিম মিয়া কেন্দুয়া উপজেলার ডাউকি গ্রামের আব্দুল হামিদ মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, তাম্বুলিপাড়া এলাকায় বর্নি নদীতে বোর্ড বসিয়ে ৫০ জন জুয়া খেলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ওই জুয়ার বোর্ড ঘেরাও করে। এ সময় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করলে বাকিরা পালিয়ে যায়। এ দিকে পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয় হালিম মিয়া। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে শুক্রবার বিকাল থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তবে শুক্র ও শনিবার পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। রোববার সকালে এক জেলে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে মদন থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে হালিমের ভাই সোহাগ রানা মদন থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।
মদন থানার ওসি তদন্ত জাহাঙ্গীর আলম জানান, শুক্রবারে একটি ট্রলারে জুয়া খেলার সংবাদ পাওয়া যায়। এ সময় কেন্দুয়া থানা পুলিশ ট্রলারটিকে ধাওয়া করে। পরে হালিম মিয়া নদীতে ঝাঁপ দিলে নিখোঁজ হয়। নিহতের ভাই একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে।