পেঁয়াজ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সোমবার (১১ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ ও আমদানি পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, দেশে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। সরবরাহও স্বাভাবিক রয়েছে। পাশাপাশি ভারত ও মিয়ানমার থেকে নিয়মিত পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। তাই মসলাজাতীয় পণ্যটি নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না।
তিনি বলেন, কোনও ধরনের কারসাজির মাধ্যমে কেউ অতি-মুনাফার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।দেশীয় প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। টিসিবি ৩০ টাকা কেজি দরে ৪০০ ট্রাক সেলের মাধ্যমে প্রতিদিন পেঁয়াজ বিক্রি করছে। সুতরাং এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
টিপু মুনশি বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন নতুন পেঁয়াজ বাজারে চলে আসবে। এ এক মাস পেঁয়াজের মূল্য যেন স্বাভাবিক রাখা যায়- সেজন্য ব্যবসায়ীদের সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের আমদানি সহজ ও দ্রত করার জন্য ইতোমধ্যে বিদ্যমান পাঁচ ভাগ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারে এবং বন্দরে দ্রুত খালাসের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করি, আগামী ৩ থেকে ৪ মাসের জন্য আমদানি-শুল্ক প্রত্যাহার করে রাজস্ব বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।এসময় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান, এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।