যানজট কমাতে চট্টগ্রাম নগরীতে প্রথমবারের মত চালু হলো পে-পার্কিং।আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় পরীক্ষামূলক এই পার্কিং ব্যবস্থা রোববার থেকে শুরু হয়েছে।এদিনদুপুরে হোটেল আগ্রাবাদে এক অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
বিট্র্যাক সলিউশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে আগ্রাবাদে সিলভার স্পুন রেস্টুরেন্টের সামনে এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সামনের সড়কে ১৭৭টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “নাগরিক সমস্যা সমাধানে ডিজিটাল সলিউশন আনার চেষ্টা করছি আমরা। এর অংশ হিসেবে যানজট কমাতে আগ্রাবাদে পে-পার্কিং চালু করা হলো।
এই পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে নগরীতে আরো পে-পার্কিং স্পট চালু করা হবে।চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, “নগরীতে গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে যে বিশৃঙ্খলা তা পে-পার্কিং এর মাধ্যমে লাঘব হবে বলে আশা করি। আধুনিক সিগন্যাল সিস্টেম চালু হলে যানজট কমবে।
“মেয়র মহোদয় সাহস করে হকার উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু হকার উচ্ছেদ করার পর দেখা যাচ্ছে আবার রাস্তা দখল হয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় একযোগে কাজ করতে হবে।”
- বি-ট্র্যাক সলিউশনের ডেপুটি ম্যানেজার মো. শাহ ফারুক বলেন, “ঘণ্টা হিসেবে গাড়ি পার্কিং করা যাবে। বাইক প্রতি ঘণ্টায় ১৫ টাকা এবং অন্যান্য গাড়ি ৩০ টাকা হারে পার্কিং ফি দিয়ে গাড়ি রাখতে পারবে।
“ইয়েস পার্কিং এপসের মাধ্যমে অনলাইনে এবং নগদে, এই দুইভাবে পার্কিং এর ফি পরিশোধ করা যাবে। অ্যাপস ডাউনলোড ও ব্যবহারে আমাদের কর্মীরা গাড়ি চালকদের সহযোগিতা করবেন। এই পাইলট প্রকল্প প্রাথমিক পর্যায়ে ছয় মাস পরিচালিত হবে। তারপর সময় আরো বাড়ানো হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মাসুদ আহাম্মদ, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন ও আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলা, মো. আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লাহ চৌধুরী, শাহীন আক্তার রোজি ও রুমকি সেনগুপ্ত, সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী, সিটি করপোরেশনের পক্ষে পে-পার্কিং বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব সহকারী প্রকৌশলী মাহুদ শাফকাত আমিন, বি-ট্র্যাক সলিউশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম তানভীর সিদ্দিকী, প্রকল্প প্রধান সাফায়েত আবদুল্লাহ, হেড অব সেলস সিরাজ উদ্দিন।