প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ৫টি সমঝোতা স্মারক সই ও ৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। একান্ত বৈঠকে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে বিশেষ উদ্যোগ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও চুক্তি বাস্তবায়নের উদ্যোগ কবে নেয়া হবে তা স্পষ্ট করেননি নরেন্দ্র মোদি।মুজিবশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যোগ দিতে এসে দ্বিতীয় দিনে শনিবার (২৭ মার্চ) সাড়ে ৫টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাগত জানান তাকে। এসময় দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।এ সময় ভারতের তরফ থেকে ১২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিনের বাক্স শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দুই দেশের ডাক বিভাগের মধ্যে স্মারক ডাকটিকেট বিনিময়, ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সের প্রতীকী চাবি হস্তান্তর করা হয়। সই হয় দুর্যোগ ব্যবস্থা প্রশমন, বিএনসিসি, বাণিজ্য ঘাটতি কমানোসহ পাঁচটি ইস্যুতে সমঝোতা।ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন হাসিনা-মোদি। এছাড়া যৌথভাবে দুই মোদি-হাসিনা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন হয় ঢাকা-জলপাইগুড়ি যাত্রীবাহী রেল চলাচলসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের।পরে এসব বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরে ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী। তিনি জানান, তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে বিশেষ উদ্যোগ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এদিকে, ভারতের পক্ষ থেকে আরেকটি ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানান, দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে।