ফ্যাসিবাদ চিরতরে বিদায় নিয়েছে; এ দেশে ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন আর হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেছেন, “পরবর্তী সরকারে কে আসবে সেটা নির্ধারণ করবে জনগণ। জনগণ যদি মনে করে, এমন কাউকে আবারও ক্ষমতায় আনবে, যারা পূর্বের মত ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করবে- তাহলে এর দায়-দায়িত্বও জনগণকেই নিতে হবে।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ হলরুমে ফ্যাসিবাদ পরবর্তী আগামীর দেবিদ্বার নিয়ে জনগণের ভাবনা ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
একইদিন সকালে একই স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেবিদ্বার উপজেলায় নিহত ও আহতদের পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানেও বক্তব্য দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
হাসনাত বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ও আহত হয়েছেন, এমন কেউ যেন অর্থ সহায়তা থেকে বাদ না পড়ে, আমরা সেটি নিয়ে কাজ করছি। দেবীদ্বারে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন, আমি বিভিন্ন ফাউন্ডেশনে গিয়ে গিয়ে তাদের জন্য অর্থ সহায়তা এনেছি।
“ইতোমধ্যে দেবীদ্বারের ১০ শহীদ পরিবারের মাঝে ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে, আহতদের দেওয়া হয়েছে ৬ লাখ টাকা।”এছাড়াও সরকারিভাবে শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সহায়তার কার্যক্রম চলছে বলেও জানান হাসনাত।
নিজের এলাকা দেবীদ্বার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেবীদ্বারে কোনোভাবেই চাঁদাবাজিকে স্থান দেওয়া হবে না। চাঁদাবাজি বন্ধে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে সবাইকে মোকাবেলা করতে হবে।
“দেবীদ্বারের অবস্থা এমন হয়েছে, যারা রাজনীতিতে আসছে, তারা বিদেশে থেকেছে এবং দেশে এসে পৈত্রিক কোটায় ক্ষমতায় এসেছে। তাদের নিজেদের মধ্যে পাতানো বিরোধী বিরোধী খেলা আছে, অর্থাৎ সরকারে গেলেও আমার পরিবার, আবার বিরোধী দলে গেলেও আমার পরিবার।”
বিকালের সভায় আরও বক্তব্য দেন বুয়েটের শিক্ষক খোরশেদ আলম, জামায়াতে ইসলামী দেবিদ্বার উপজেলা শাখার আমীর শহিদুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপজেলা আমীর পারভেজ সরকার, গণঅধিকার পরিষদের কুমিল্লা জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন।
সকালের অনুষ্ঠানে এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল ইসলাম, উপজেলার ইউএনও নিগার সুলতানা, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান, দেবীদ্বারের সমন্বয়ক মুক্তাদির জারিফ ওরফে সিক্ত ছিলেন।