একজন কিউবার বিপ্লবী নেতা অন্যজন আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তী। কিন্তু দু’জনের বন্ধুত্বের বন্ধন ছিল দৃঢ়। দেশের সীমানা পেরিয়ে সে বন্ধুত্ব হয়ে উঠেছিল আত্মার বন্ধনের মতোই।বন্ধু ফিদেল ক্যাস্ত্রোর মৃত্যুর সময় শোকে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! নিজের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুর দিনটিকেই নিজের বিদায়ের জন্য বেছে নিলেন ম্যারাডোনা! ২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর, ৯০ বছর বয়সে কিউবার রাজধানী হাভানায় মৃত্যুবরণ করেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো। চার বছর পর ঠিক একই দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিলেন আর্জেন্টাইন তারকা ম্যারাডোনা। বুয়েন্স আয়ার্সের তিগ্রেতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলেন ফুটবল সম্রাট দিয়েগো ম্যারাডোনা।ম্যারাডোনার স্বপ্ন পুরুষ কিংবদন্তি কমিউনিস্ট নেতা বিশ্বজনীন বিপ্লবী বলে পরিচিত চে গুয়েভারা। মূলত তারই হাত ধরে ফিদেল কাস্ত্রোর অনুরাগী হন তিনি। কিশোর বয়স থেকেই ম্যারাডোনা ছিলেন গুয়েভারার খাঁটি সৈনিক। সমাজতান্ত্রিক দর্শন থেকেই চে’র উল্কি হাতে এঁকেছিলেন ম্যারাডোনা। পুঁজিবাদী দুনিয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে গেছেন ম্যারাডোনা। বিপ্লবী বন্ধুদের সান্নিধ্য পেতে ছুটে গেছেন কিউবায়। বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রোর সেই সখ্যতা ম্যারাডোনাকে ক্রমশ পুঁজিবাদী শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শিখিয়ে গেছে। তাই হয়তো বিপ্লবীর পথ অনুসরণ করে একই দিন বেছে নিয়ে পরপারে চলে গেলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী ম্যারাডোনা।