বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এম.পি
বঙ্গবন্ধু ছিলেন সারা বিশ্বের নির্যাতিত ও মুক্তিকামী মানুষের সাহসী কণ্ঠস্বর
বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এম.পি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সারা বিশ্বের নির্যাতিত ও মুক্তিকামী মানুষের সাহসী কণ্ঠস্বর। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন গরিব-দু:খী মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন।
গতকাল ১২ আগস্ট (শনিবার) বিকাল ৩ টায় বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাঁশখালী উপজেলা শাখার সভাপতি জাকের হোসেন চৌধুরী (বাচ্চু)’র সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ বাঁশখালী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিদর্শন বড়–য়া পরিচালনায় এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ডা: বিদ্যুৎ বড়–য়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক নূরুল মোস্তাফা সংগ্রাম ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ বাঁশখালী উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি আবছার উদ্দিন চৌধুরী (জান্টু)। আরো বক্তব্য রাখেন, পেনেল মেয়র রিজিয়া সুলতানা রোজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনমুন দত্ত, কমিশনার আকতার হোসেন, অর্থ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম মোবিন প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধুকে বাঙালির মহানায়ক উল্লেখ করে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এম.পি বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ হতো না। তিনি আমাদের একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ ও জাতি উপহার দিয়েছেন। তিনি ধাপে ধাপে আন্দোলন সংগ্রাম করে বাঙালি জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। যার ফলে মাত্র ৯ মাসের মাথায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবার দেশের জন্য অবদান রেখেছেন। এছাড়াও তিনি বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য একটি রতœ রেখে গেছেন, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ডা: বিদ্যুৎ বড়–য়া বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রতীক এবং শ্রেষ্ঠ কৃতী। একমাত্র বঙ্গবন্ধুকে সামনে রেখেই বাঙালিরা জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের স্বপ্ন দেখেছিল।
তিনি বলেন, কোটি কোটি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষমতা একমাত্র বঙ্গবন্ধুরই ছিল। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়তে চেয়েছিলেন। তাঁর উন্নয়ন ভাবনা আজও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক আবদুল গফুর বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে শুধু স্বাধীন সার্বভৌম দেশই উপহার দেননি, তিনি আমাদেরকে আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার শক্তি ও সাহস দিয়েছেন। তিনি আমাদের স্বপ্ন দেখতে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে শিখিয়েছেন। এছাড়াও শিখিয়েছেন কীভাবে দেশপ্রেমিক হওয়া যায়।
অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট কালো রাতে সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।