প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ফিরে আসা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পরিবারে এল সুখের খবর। বুধবার ভোরে বরিস জনসনের দীর্ঘদিনের বান্ধবী ক্যারি সিমন্ডস ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লন্ডনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের একটি হাসপাতালে ক্যারি সিমন্ডসের কোল আলো করে এসেছে সুস্থ এক ছেলে সন্তান। হাসপাতালে সন্তান জন্মের সময় ৩২ বছর বয়সী বান্ধবীর পাশে ছিলেন বরিস। বর্তমানে মা এবং ছেলে সুস্থ আছেন।
নতুন আগত এই সন্তান ক্যারি সিমন্ডসের প্রথম হলেও বরিসের ষষ্ঠ। গ্রীষ্মের শেষের দিকে এই সন্তানের জন্মের সময় নির্ধারণ করা থাকলেও অনেকটা আকস্মিকভাবেই তার আগেই জনসন পরিবারে এল নতুন অতিথি।
চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি বান্ধবী ক্যারির গর্ভে সন্তানের সুখবর দেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দীর্ঘদিনের জীবনসঙ্গী ম্যারিনা হুইলারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এক বছর আগে ক্যারির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রী। পরে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ মাসটিকে ক্যারির সঙ্গে বাগদান হয় বরিসের।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সন্তানের জন্মের খবর দিয়ে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ক্যারি সিমন্ডস অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা দিচ্ছে যে, তাদের পরিবারে বুধবার ভোরের দিকে লন্ডনের একটি হাসপাতালে নতুন অতিথি এসেছে। মা এবং সদ্যোজাত সন্তান বর্তমানে সুস্থ আছেন।
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের প্রসূতি দলকে তাদের চমৎকার সেবা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও সিমন্ডস ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
গত মাসের শেষের দিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। হালকা উপসর্গ নিয়ে প্রথম দিকে স্বেচ্ছা আইসোলেশনে থাকলেও পরবর্তীতের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে তার। পরে ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রীকে লন্ডনের একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে দীর্ঘ দুই সপ্তাহ চিকিৎসা নেয়ার পর গত সপ্তাহে বাসায় ফেরেন তিনি।
সোমবার কাজে ফেরার একদিন পর বাবা হওয়ার সুখবর পেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
সূত্র: বিবিসি, ডেইলি মেইল।