বিএনপি মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে শুধু দেশে নয়, বিদেশেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণন করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘বিভিন্ন উপনির্বাচনে তারা প্রার্থী দেয়। নির্বাচনের আগে খুব হইচই করে। যেদিন নির্বাচন সেদিনে দুপুরে পরাজয়ের ভয়ে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়। মূলত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তারা এমন করে।’
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আমি এখন ঘরের মধ্যে একা তাই মাস্ক পরছি না। কিন্তু লোকজন আসলেই মাস্ক পরি। লোকজনের সামনে আসলেই মাস্ক পরতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এক হাজার কোটি টাকা দিয়ে আগাম ভ্যাকসিন অর্ডার করেছে সরকার। করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে যেন খাদ্য সংকট তৈরি না হয় এ জন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। খাদ্য সংকট যেন তৈরি না হয় এজন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’
দেশের জনগণের অধিকার আদায়ের মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটে। তৃণমূল থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। তৃণমূল পর্যন্ত কমিটি করে ফেলতে হবে। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু পাওয়াটাই বড় নয়, বরং কী দিতে পারলাম সেটাই বড়। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের এ বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের একটি পরিকল্পনা ছিল। আমরা প্রত্যন্ত এলাকাতেও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। এমনও সময় ছিল যখন হাঁচি দিলেও অনেকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে যেত। করোনাভাইরাস আমাদের শিখিয়েছে দেশেই চিকিৎসা সেবা নেয়া সম্ভব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক দেশের প্রবৃদ্ধি মাইনাসে চলে গেছে, কিন্তু আমরা ধরে রাখতে পেরেছি। করোনার মধ্যেও ব্যাংকগুলোকে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এতে অনেকেই ছোটখাট ব্যবসা করেও বেঁচে থাকতে পারছে।’
সমালোচকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সমালোচনা হলে ভালো এতে সরকারের কার্যক্রমের ভালোমন্দ আমরা বুঝতে পারি। কিন্তু অপপ্রচার কেন? সমালোচনায় আমাদের আপত্তি নেই, ভালো কাজ করলে সেটা একটু স্বীকার করিয়েন।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আপনারা যা ইচ্ছা লিখতে পারেন, এতে হয়তো পত্রিকার কাটতি বাড়বে। হয়তো এনজিওর জন্য বিদেশি ফান্ড আসবে। কিন্তু এই ফান্ড কোথায় যায়? ভবিষ্যতে এটার হিসাব নেয়া শুরু করব।’
এ সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার তাগিদ দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘চিরদিন কেউ বেঁচে থাকে না। সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি হয়ে গেলে অনেক কাজ করা যাবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল, মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, আইন সম্পাদক নজিবুল্লা হীরু, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।