বৃদ্ধ মহিলাদের দোকান লুটপাট ও হামলা, প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও মামলা

    0
    40

    নিজস্ব প্রতিবেদক:
    চট্টগ্রাম চান্দগাওঁ থানাধীন মেসার্স মুসলিম ফার্নিচার লুটপাট ও মালিকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ জানুয়ারী আনুমানিক রাত ১০টার দিকে খাজা রোড পাক্কা দোকান এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে গত ৯ তারিখে সাহাদাত হোসেন প্রকাশ সুজন, মো. দিদার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন এরশাদ ও অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন অবিভাকহীন মমতাজ বেগম। বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে দোকানটি নির্মাণ করেন মমতাজ বেগম, মঞ্জুরা বেগম, আনোয়রা বেগম ও সেনোয়ারা বেগম নামে চার বোন। পরে দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে মাসিক ১৫ হাজার টাকা চুিক্ততে দোকানটি ভাড়া দেওয়া হয়। দোকানের ভাড়াগুলো দিয়ে কোনভাবে জীবনযাপন করেন অসহায় চারবোন। একটি ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে আফছার নামে একজন ব্যক্তির নেতৃত্বে অনেকদিন ধরে দোকানটি দখল করারা পায়তারা করে আসছে বলে জানান ভুক্তভোগী চার বোন। তারা বলেন, আমাদের কোন ছেলে সন্তান না থাকায় তারা অনেকনি ধরে আমাদের উপর নির্যাতন করে আসছে।

    এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় মো. সাইফুল ইসলাম নামে একজন সুনামধন্য ব্যবসায়ীসহ চার বোনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে তারা। ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলার প্রতিবাদে ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রামের বৃহৎ ফার্নিচার বাজার বলিরহাটের ব্যবসায়ীরা।

    মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারী রাত আনুমানিক ১০টার সময় সাহাদাত হোসেন প্রকাশ সুজন, মো. দিদার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন এরশাদ ও অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন সঙ্গবদ্ধভাবে বিভিন্ন দেশীয় অন্ত্র-সন্ত্র নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মেসার্স মুসলিম ফার্নিচার নামীয় দোকান ঘরটির তালা ভেঙ্গে দোকানে থাকা অধিকাংশ মূল্যবান ফার্ণিচার নিয়ে যায়। এবং দোকানের সাইনবোর্ড চুরি করে নিয়ে যায়। লুটকৃত দোকানের ভাড়াটিয়ার মারফতে সংবাদ পাওয়ার পরে দোকানে গেলে তারা বৃদ্ধ মহিলা মমতাজ বেগমকে জোরপূর্বক আটকে রেখে এলোপাতাড়ি কীল-ঘুষিসহ দেশীয় অন্ত্র কিরিচ-রাম দা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে। তার চিতকার চেচামেচি শুনে বোন সেনোয়ারা বেগম এগিয়ে আসলে ধারালো ছুরি দিয়ে সেনোয়ারা বেগমকেও হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় ও বাম হাতে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। মমতাজ বেগম ও সেনোয়ারা বেগমের পরনের কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীতাহানী করে তারা। তাদের চিতকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা অস্ত্র উচিয়ে ঘটনার বিষয়ে মামলা মোকাদ্মা করলে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকিধামকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয় লোকজনসহ গুরতর আহতাবস্থায় সানোয়ারা বেগমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ২৪ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করান।

    এ বিষয়ে মো, সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ দোকানটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্ধ চলছে। এ বিষয়ে চান্দগাওঁ থানায় একটি অভিযোগ করেন বৃদ্ধ অসহায় মহিলারা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সামাজিকভাবে সমাধান করার জন্য স্থানীয় একজন সুনামধন্য ব্যক্তি ও একজন অ্যাডভোকেট এর মাধ্যমে সমাধান করার পরামর্শ দেন স্থানীয় থানা। কিন্তু তারা সালিশি বৈঠকে না এসে এই ঘটনাটি ঘটায়। বৃদ্ধ মহিলাদের কোন ছেলে সন্তান না থাকায় তারা অসহায়ত্বের জীবনযাপন করেন। আমি উভয় পক্ষকে ঝগড়াবিবাদ না করে সমাধান করার পরামর্শ দিলে চড়া হয়ে আমাকেসহ আসামি করে মামলা করেন । এছাড়াও এবিষয়ে পরবর্তীতে কোন কথা বললে মামলা ও সামাজিকভাবে হেনস্তা করার হুমকি দিয়ে আসছে তারা। বিষয়টি আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অভাগত করেছি। ঝগড়া বিভেদ না করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধীর মাধ্যমে সমাধান করার পরামর্শও দিয়েছি।