স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খোরশেদুল আলম , নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় সংকটে পড়েছে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার।
প্রতিযোগিতা সংকটে পড়েছে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার।
এরইমধ্যে কয়েক দফায় বেড়েছে সবজির দাম।
এর সঙ্গে যুক্ত হয় মাছ-মাংস ও ডিম। মাংসের দাম এক লাফে তিনগুণ বেড়ে যাওয়ার পর দাম না কমলে ব্রয়লার মুরগি আমদানির পরামর্শ দেয় এফবিসিসিআই।
এতে অবশ্য কিছুটা কাজ হয়েছে। পোলট্রি খাতের চার প্রতিষ্ঠান খামার পর্যায়ে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার পর খুচরা বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে।
সোমবার (২৭ মার্চ) কাজীর দেউড়ি বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে।
প্রতি কেজি ৪১৫ টাকা। এছাড়া লেয়ার ৩৩০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৪০ টাকা কেজি দরে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানে অধিকাংশ হোটেল বন্ধ থাকে বলে মুরগির চাহিদা কমে গেছে। তাই দাম কিছুটা কমেছে। ফার্ম থেকে ১৮০ টাকা দরে মুরগি কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। দেশি মুরগির ডিম প্রতি ডজন ২৪০ টাকা, ফার্মের ডিম ১২০ টাকা এবং ফার্মের হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
এদিকে বহদ্দারহাট ও চকবাজার কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্রতি কেজি শসা ৬০-৬৫ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, এক জোড়া লেবু ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইফতার-সেহরিতে ব্যবহৃত এসব সবজির দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বিক্রিতে।
রিয়াজউদ্দিন বাজার আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক শিবলী জানান, রমজানে শসা, বেগুন ও গাজরের চাহিদা বেশি থাকে। এসময় খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় দাম বাড়িয়ে দেয়। বাজারে সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।