ব্রয়লার মুরগির রেকর্ড দামে

0
21

ব্রয়লার মুরগির রেকর্ড দামে দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ। অভিযোগ রয়েছে, মুনাফার বেশির ভাগই যাচ্ছে মধ্যসত্বভোগিদের পকেটে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থাগুলোর তদারকি বাড়ানোর দাবি ক্রেতাদের।নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে আমিষ মানেই ব্রয়লার মুরগি ও ডিম। তবে ধীরে ধীরে এই খাদ্যপণ্যও চলে যাচ্ছে সাধারণের সামর্থ্যের বাইরে।ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ- টিসিবির মতে, বছর ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে প্রায় ৫৫ শতাংশ, মাস ব্যবধানে প্রবৃদ্ধি ২৬ শতাংশ। এর জন্য অতি মুনাফা খোরদের দৌরাত্ম্যকেই দুষছেন খুচরা বিক্রেতা ও ভোক্তা।

একজন বিক্রেতা বলেন, দাম বাড়তি হলেও আমাদের লাভ কম এখন। এক মাস আগে মুরগির দাম ছিল ১৪০-১৫০ টাকা, তখন আমাদের লাভ ছিল ভালো। বর্তমানে দাম বাড়াতে আমাদের কেজিতে ১০-১২ টাকা লাভ হয়। আরেকজন বলেন, যারা মধ্যস্থতাভুগী তারাই এ সুবিধাটা নিচ্ছে। শুধু এ ক্ষেত্রে না প্রতিটি জিনিসেই। প্রতিটি জিনিসেরই দাম বৃদ্ধি। হাতের নাগালের বাইরে। এখন আমাদের আর করার কিছু নেই।

এই লাভের গুড়, যাচ্ছে কার পকেটে? কতটা লাভবান হচ্ছেন প্রান্তিক খামারি? খামার ও বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ভোক্তা পর্যায়ে কেজি ২৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির জন্য খামারির খরচ ১৭০ টাকা। স্থানীয় ডিলারের হাত ঘুরে পাইকারিতে বিক্রি হয় কেজি ২৪০ টাকা দরে।

উদ্যোক্তারা জানান, সাম্প্রতিক বাজারমূল্যে কিছুটা মুনাফা হলেও রয়েছে লোকসানে পড়ার শঙ্কা।

খামারি আবুল কালাম আজাদ বলেন, কম বাচ্চা দিলে লস হবে তাই আমরা এখন বাচ্চা দেয়ার সাহস পাচ্ছি না। খাদ্যের দাম বেশি, বাচ্চার দাম বেশি। এখন দিলে আমার মুরগির রেট আজকে আছে। একমাস পরে যদি সেই রেট নেমে ১৫০ টাকায় আসে তখন তো আমাদের অনেক লস হয়ে যাবে। এ কারণে আমরা বাচ্চা দিতে পারছি না। বাচ্চা ৬০-৬৫ টাকা করে পাওয়া যায় না। আমরা অর্ডার দিলেই বলে বাচ্চা শেষে।

অভিযোগ রয়েছে, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের দৌরাত্ম্যে এই খাতে অংশীদারিত্ব হারাচ্ছে প্রান্তিক খামারি। একে আরও তরান্বিত করছে সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা ও নজরদারির অভাব