ক্ষতিরমুখে দেশের হাজার হাজার পেঁয়াজ চাষি। কারণ হিসেবে তারা দুষছেন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সরকারি সিদ্ধান্তকে।
এদিকে সিদ্ধান্তে নিতে বাণিজ্যমন্ত্রী তাকিয়ে আছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের দিকে আর কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, কোনোভাবেই কৃষককে ক্ষতির মুখে ফেলবেন না তারা।এক হালি ত্রিশ টাকা। আর এক কেজির দাম উঠেছিলো আড়াইশ টাকায়। মাস কয়েক আগের কথা এটি। গত অক্টোবরে ভারত রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলে সব শ্রেণিপেশার মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায় পেঁয়াজ।
সেই দাম দেখে অনেক আশা নিয়ে এবার পেঁয়াজ ফলিয়েছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার লক্ষণদিয়া গ্রামের কৃষক শুকুরু আলী মোল্লা। ফলনেরমতো দামও তুলছিলেন ভালোই। কিন্তু সম্প্রতি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির কারণে কমতে শুরু করেছে দর।এপ্রিলে মাঠ থেকে পেঁয়াজ ওঠার পর কৃষক পাইকারিতে মণপ্রতি বিক্রি করেন ১৬শ থেকে ২ হাজার টাকা। কিন্তু আমদানির ঘোষণায় এক লাফে তা ৫শ টাকা কমে গেছে। তাই শুকুর আলীর মতো দেশের হাজারো কৃষকের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।তবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন, কৃষকের পাশাপাশি দেখতে হয় ভোক্তার দিকটাও। হয়ত রমজানের কারণে আমদানি করা হয়েছে তবে অবশ্যই কৃষক যাতে লাভবান হয় সেটি দেখা হবে বলে জানান তিনি।বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিন্তু পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় না। সেটা কৃষি মন্ত্রণালয় যদি চায় বন্ধ করতে তাহলে তারা এটা করতে পারে।অন্যদিকে কৃষিমন্ত্রী বলছেন দাম খুব বেশি কমেনি তবে লাভ কম পাচ্ছেন কৃষক। তবে সেটিও দেখবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রোজার আগে কিছু আমদানিকারকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। পেঁয়াজ এসেছে ভারত থেকে। দাম খুব বেশি কমেনি তবে লাভ কম পাচ্ছেন কৃষক।সংশ্লিষ্টরা বলছেন পেঁয়াজে নিজেরা সাবলম্বি হতে চাইলে আমদানি নির্ভরতা কমানোর বিকল্প নেই। প্রতি বছর মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত দেশের পেঁয়াজ মৌসুমে আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার পরামর্শ চাষীদের।