ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

0
9

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ (নিউক্লিয়াস)-এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের কীর্তিমান সংগঠক ও রাউজান থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ১১নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং যুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনী প্রধান, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, রাউজানে সমবায় আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক চেয়ারম্যান-এর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৭ জানুয়ারি, মঙ্গলবার।

১৯৮৭ সালের এই দিনে তিনি নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন।
১৯৩২ সালের ১৭ জুলাই রাউজানে এক সম্ভ্রান্ত ও বনেদি পরিবারে জন্মগ্রহণকারী জনাব হক স্বীয় থানায় শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা পালনকারী, শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের ঋণ সালিশি বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, চট্টগ্রাম আদালতের জুরার এবং রাউজান শিক্ষক সমিতির আমৃত্যু সভাপতি, উত্তর চট্টগ্রামের ‘শিক্ষকরবি’ খ্যাত আধ্যাত্মিক সাধক ও মুসলিম মনীষা হযরত আলহাজ্ব ওচমান আলী মাস্টার (রহ.) প্রকাশ-‘বড় মাস্টার’ এর সুযোগ্য প্রথম পুত্র।
তিনি ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগ আন্দোলন, ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন কার্যক্রম, ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ আমৃত্যু দেশের সাধারণ মানুষের আশা আকাক্সক্ষা পূরণের আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁদের বাড়ি মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম প্রধান ‘শেল্টার হাউস’ ছিলো। অসাম্প্রদায়িক ও দুর্বার সাহসী ফজলুল হক দীর্ঘদিন অত্যন্ত সুনামের সাথে ১১নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ছিলেন। জনাব হক গহিরা শান্তির দ্বীপ কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতিরও দীর্ঘসময় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
মরহুমের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক গণপাঠাগার, আমরা করবো জয়সহ বিভিন্ন সংগঠন-সংস্থা ও পরিবারের পক্ষ থেকে বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মরহুমের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির আওতায় ‘বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক গণপাঠাগার ও পরিবারের উদ্যোগে রাউজানে বিভিন্ন সড়ক নির্মাণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে, গরীব-দুঃস্থদের ও এতিমখানায়, গৃহনির্মাণে, বিদেশ গমনে, কন্যাদায়গ্রস্থদের, সামাজিক সংগঠন ও নানা আয়োজনে এবং এ.কে ফজলুল হক ও বেগম লায়লা হক স্মৃতি বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে বছরব্যাপী সর্বমোট ১০ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।