মন্ত্রীর গানম্যানের গুলিতে আহত অপর বন্ধুও মারা গেলেন

0
167

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের গানম্যান ও পুলিশের এএসআই কিশোর কুমার গত ১৬ এপ্রিল তার এক বন্ধুকে গুলি করে হত্যা করেন। গুলিতে আরেক বন্ধু আহত হন। মহিম উদ্দিন (৩২) নামে আহত ওই বন্ধুও চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) মধ্যরাতে মারা গেছেন।

নিহত মহিম উদ্দিন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সীমান্তবর্তী টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের আজগানা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।

ঘটনার দিনই নিহত হন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সীমান্তবর্তী টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের আজগানা গ্রামের সবুর উদ্দিনের ছেলে মো. শহিদ (৩০)।

মন্ত্রীর গানম্যান হলেন গাজীপুরের এসবির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কিশোর কুমার (৩৫)। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার কুতুবদিয়া গ্রামের নারায়ণ কুমারের ছেলে। পুলিশ তাকে ঘটনার একদিন পর আশুলিয়ার শিমুলতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। ওই সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রীর গানম্যান কিশোর ও হতাহতরা পরস্পর বন্ধু। প্রায়ই তারা একসঙ্গে আড্ডা দিতেন। স্ত্রীর সঙ্গে কিশোরের দীর্ঘদন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল। সম্প্রতি ওই কলহের জেরে স্ত্রী ঢাকার বাসা থেকে বাবার বাড়ি চলে যান। এই কলহের কারণ হিসেবে কিশোর তার স্ত্রীর সঙ্গে মহিম উদ্দিনের পরকীয়াকেই সন্দেহ করছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে।

এ জন্য মহিমকে হত্যার উদ্দেশ্যেই ফোনে গাঁজা সেবন ও আড্ডা দেয়ার কথা বলে গত ১৬ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) রাতে স্থানীয় কুতুবদিয়ায় এলাকার একটি পতিত জমিতে আসতে বলেছিলেন কিশোর। পরে মাহিম তার বন্ধু মো. শহিদকে নিয়ে উল্লেখিত স্থানে কিশোরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে কিশোর মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পিস্তল দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। এতে মহিমের গায়ে দুটি এবং শহিদের বুকে একটি গুলি লাগে। এতে শহিদ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুলির শব্দ পেয়ে এলাকাবাসী ছুটে আসলে কিশোর দৌড়ে পালিয়ে যান।

আহত মহিম উদ্দিনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

কালিয়াকৈর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, আহত মহিমকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর আগে তিনি ঘটনার বিস্তারিত পুলিশকে জানিয়েছিলেন।