মহানায়কের জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২০ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, ত্যাগ-তিতিক্ষা আর আন্দোলন-সংগ্রামে মুজিব হয়ে উঠেন বঙ্গবন্ধু। আর বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির জনক।
জাতির জনক হয়ে ওঠার পেছনেও রয়েছে হাজারো ত্যাগ-তিতিক্ষার গল্প। ১৯২০ সালের এই দিনে যার জন্মের মধ্য দিয়ে যেন এসেছিল শোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির বার্তা।
কিশোর বয়সেই জানান দিয়েছিলেন তিনিই বাঙালির ভবিষ্যৎ কান্ডারি। নদী-খাল আর শ্যামলিমায় ঘেরে গ্রামেই কেটেছে তার শৈশব-কৈশোর। স্কুলে পড়ার সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে খেটেছেন জেলও।
১৯৪৬ সালে ভারত ছাড় আন্দোলন দিয়ে রাজনীতি প্রবেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের। তারপরের ইতিহাস সংগ্রামের। বাঙালি জাতির স্বাধীকারের প্রশ্নে কোনদিন আপোষ করেননি এই মহান নেতা।
সত্যের প্রতীক মুক্তির প্রতীক বঙ্গবন্ধু আজ আর নেতা নন, তিনি এক প্রতিষ্ঠান। যার জন্মই হয়েছিল বাংলা বাঙালির মুক্তির জন্যই।
আরও পড়ুন : বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে দিনটি ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে উদযাপিত হবে।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আজ দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ উপলক্ষে জাতীয় শিশু সমাবেশ ও তিনদিন ব্যাপী বইমেলারও আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ জাতীয় শিশু সমাবেশে যোগ দেবেন।
এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকারি বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।