হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ জান্নাত আরা ঝর্ণাকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বসিলার একটি বাসা থেকে ঝর্ণাকে উদ্ধার করে ডিবি। ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান ঝর্ণাকে উদ্ধার করার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, ঝর্ণাকে উদ্ধার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। বিকেলে তাকে তার বাবার কাছে সোপর্দ করা হবে।এর আগে সোমবার (২৬ এপ্রিল) ঝর্ণার বাবা ওলিয়ার রহমান মেয়েকে জরুরিভিত্তিতে উদ্ধার করতে কলাবাগান থানায় জিডি করেন। ওই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে একদিন পর ঝর্ণাকে উদ্ধার করা হলো।জিডিতে ওলিয়ার রহমান বলেন, মামুনুল হক ঝর্ণার সুখের প্রথম সংসার ভেঙে দিয়েছে। সেই সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। একপর্যায়ে জীবনের তাগিদে কাজের সন্ধানে ঝর্ণা ঢাকায় এসে উত্তর ধানমন্ডির একটি বাসায় উঠে।জিডিতে আরও বলা হয়, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ঘটনার পর তিনি জানতে পারেন যে, তার মেয়েকে ইসলামি শরিয়তের বিধান মোতাবেক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করেন মামুনুল হক।ওই ঘটনার পর তিনি তার মেয়ের ঢাকার ঠিকানায় এসে মেয়েকে না পাওয়ায় মনে করেন মামুনুল হকের লোকজন তার মেয়েকে অপকৌশল করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছেন।ঝর্ণার বাবা জিডিতে অভিযোগ করে বলেন, জিডি করার দুদিন আগে ঝর্ণা ফোন করে তার ছেলেকে জানান, তিনি গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন। তার ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এজন্য তাকে জরুরিভিত্তিতে উদ্ধার করতে বলা হয়। এছাড়া যেকোনো সময় তাকে মেরে ফেলা হতে পারেও বলে জানান।ঝর্ণা ঢাকার কোথায় আছেন জানতে চাইলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জিডিতে ওলিয়ার রহমান আরও বলেন, তিনি এই ঘটনা তার নাতির কাছ থেকে জানতে পেরে তিনিসহ আত্মীয়স্বজন উদ্বিগ্ন, চিন্তিত অবস্থায় দিন পার করছেন।জিডিতে অভিযোগ করা হয়, মামুনুল হকের লোকজন যে কোনো মুহূর্তে তার মেয়েকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করতে পারে বলে তাদের সন্দেহ হচ্ছে। এমন অবস্থায় তার মেয়েকে জরুরিভাবে উদ্ধার করা আবশ্যক বলে জিডিতে উল্লেখ করেন তিনি