মিজানুর রহমান আজহারী মাসখানেকের জন্য আবার মালেশিয়া গেলেন।

0
8

আবারও দেশ ছাড়লেন তুমুল জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। দীর্ঘ পাঁচ বছর গত ২ অক্টোবর তিনি মাতৃভূমিতে ফিরেছিলেন। ৯ দিনের মাথায় এক মাসের জন্য আবার পাড়ি দিলেন মালয়েশিয়ায়।

শুক্রবার সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ খবর জানান মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। সঙ্গে দিলেন একটি দুঃসংবাদ। জানালেন, আগের মতো তিনি আর জেলায় জেলায় গণহারে তফসির মাহফিল করবেন না।

আজহারী তার পোস্টে লিখেছেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সংক্ষিপ্ত সফরে দেশে এসেছিলাম। বেশির ভাগ সময় পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছি। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরানার আলেম-ওলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে একটি ক্লোজ মিট-আপ প্রোগ্রাম করেছিলাম।’

‘আলহামদুলিল্লাহ, সত্যিই সেদিনটি বেশ উপভোগ্য ছিল। তবে শর্ট নোটিশে প্রোগ্রামটি আয়োজনের কারণে অনেক প্রিয় ভাই আসতে পারেননি। আবার কিছুটা তাড়াহুড়ো করে দাওয়াত দেওয়ার কারণে বেখেয়ালবশত অনেকে বাদ পড়েছেন। আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তীতে সবার সঙ্গে সাক্ষাতের প্রত্যাশা রইলো।’

‘আজ মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছি। মাস খানেক পর আবারও দেশে ফিরবো ইনশাআল্লাহ। তখন আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, প্রটোকল, লোকেশন সিলেকশন, শ্রোতা ধারণ ক্ষমতা, অর্গানাইজিং ক্যাপাসিটিসহ সবকিছু অনুকূল হলে পুরো দেশ জুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে হয়ত কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারি। তবে সব কিছুই নির্ভর করবে উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতির উপর।

‘আমি এ জমিনে কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে চাই পরিকল্পিতভাবে। তাই আগের মতো জেলায় জেলায় গণহারে তাফসির প্রোগ্রাম করতে চাচ্ছি না। আউটডোর প্রোগ্রাম সীমিত করে কিছু ইনডোর প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে চাই। পাবলিক ইভেন্ট ছাড়াও অ্যাকাডেমিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাজে যুক্ত হতে চাই। এসব স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। শিগগিরই এসব প্রকল্পের ঘোষণা আসবে ইনশাআল্লাহ। দোয়ায় রাখবেন।’

এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার ঘোষণা দেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। তখন তিনি এক ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘পারিপার্শ্বিক কারণে এবং গবেষণার জন্য’ তিনি আগামী মার্চ পর্যন্ত সব ওয়াজ মাহফিল বন্ধ রেখে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন।

এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর দেশের মাটিতে আসতে পারেননি জনপ্রিয় এই ইসলামি স্কলার। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর এক ভিডিওতে তিনি দেশে ফেরার বার্তা দেন। সেই মতো গত ২ অক্টোবর দেশে আসেনও। চলে গেলেন আবার। এক মাসের অপেক্ষায় লাখো ইসলামি জনতা।