মিতু হত্যা: স্বামী বাবুলের নির্দেশ প্রমাণের পরও সুরাহা হয়নি মামলার

    0
    175

    চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যাকাণ্ডের সুরাহা হয়নি চার বছরেও। এখন পর্যন্ত মামলার অভিযোগপত্রই জমা দেয়নি পুলিশ। এ খুনের সঙ্গে স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে বারবার। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর হাতে আসা একটি ফোনকলেও বাবুলের নির্দেশ দেয়ার প্রমাণ পাওয়ার কথা উঠে এসেছে।

    গত ২০১৬ সালের ৫ জুন। অন্যদিনের মতোই ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে যাচ্ছিলেন মাহমুদা আক্তার মিতু। তিন মোটরসাইকেল আরোহী হঠাৎই ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন তাকে। শিশু সন্তানের সামনেই গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিতুকে।ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয় যখন জানা যায়, হত্যায় অংশ নেয়া মুসা নামে একজন ছিলেন মিতুর স্বামী এসপি বাবুলেরই সোর্স।

    এরপর মিতুর বাবা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক অভিযোগ করেন, পরকীয়ার কারণে তার মেয়েকে খুন করিয়েছেন বাবুল। এরপরই চাকরি হারান তিনি। চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ শুরু থেকেই তদন্ত করলেও এ বছর মামলাটি দেয়া হয়েছে পিবিআইয়ের হাতে।
    মিতুর বাবা বলেন, আগের আইও তো আমাদের সঙ্গে কথা বার্তা বলেছিলেন। যদিও তা সন্তোষজনক ছিল না। শুনেছি পিবিআইয়ের কাছে মামলা ট্রান্সফার হয়ে গেছে। সেটা আবার আমরা জানি না।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি একটি ফোনকলের রেকর্ড হাতে পেয়েছেন তারা। যেখানে বাবুল মুসাকে বলছেন, তুই কুপালি ক্যান? বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
    তদন্তে সবগুলো বিষয়ই আমলে নেয়ার কথা জানিয়েছেন পিবিআই-প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।
    তিনি বলেন, মাস খানেক আগে ডকেটটি হাতে পেয়েছি। এ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে এ বিষয়টি আলোচনা হয়নি। দায়িত্বপ্রাপ্তকে বলে দিচ্ছি ডকেটটি যেন আমার হাতে সামারাইজ করে দেয়। সেটি দেখে আমরা দেখব গত ৪ বছরে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তারপর আমরা তদন্ত শুরু করব।
    এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু’জন মারা যান কথিত বন্দুকযুদ্ধে। আর হত্যাকাণ্ডে সরাসরি যে দুটি নাম বারবার এসেছে সেই মুসা ও কালুর এখনও খোঁজ পায়নি পুলিশ। যদিও মুসার স্ত্রীর দাবি তাকে ঘটনার ১৭ দিন পর আটক করে পুলিশ।
    এসব বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করে এবং ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি বাবুল আক্তারের।