ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব কেটে যাওয়ায় সারাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সময়নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ এর ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম।তিনি বলেন, এখনও ঝোড়ো বাতাসের শঙ্কা আছে, আর নদীও উত্তাল। তাই ইঞ্জিন চালিত লঞ্চ (ট্রলার) বন্ধ থাকবে। ফলে মাওয়া ও আরিচাঘাটের লঞ্চ বন্ধই থাকছে।এর আগে মঙ্গলবার (২৫ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে সকল নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিল বিআইডব্লিউটিএ।এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। এমন আবহাওয়ার ফলে দেশের অনেক জায়গায় স্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।এছাড়া খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং চট্টগ্রামের বিভাগের অন্যান্য জেলাগুলোতে ও অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে বলে সতর্কাবার্তায় বলা হয়েছে।এ সময় বাতাসের গতি বেশি থাকায় ও পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রামের জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।এজন্য উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল প্রকার মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।