রাজধানীতে গতকালের সংঘর্ষে নিহত ৮ আহত তিন শতাধিক

0
7

শঙ্কা, ভয়, উদ্বেগ নিয়েই শুরু হয় রাজধানী ঢাকার রোববার সকাল। তবুও অফিসগামীদের অনেকে বের হন বাসার বাইরে। সড়কে কিছু কিছু গাড়িও চলতে দেখা গেছে। দুপুরের আগেই বেশ কিছু সড়কে নেমে আসেন বিক্ষোভকারীরা। সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের হামলায় বাঁধে সংঘর্ষ। বিভিন্ন স্থানে গুলি, টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেডে আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয় রাজধানী ঢাকা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন ছিল গতকাল রোববার। তাদের ঠেকাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নামেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। লাঠিসোঁটার পাশাপাশি তাদের অনেকের হাতে অস্ত্র দেখা গেছে। কয়েকটি জায়গায় তাঁরা বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। কোনো কোনো স্থানে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরাও ছিলেন। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েন। কোনো কোনো স্থানে শটগানের গুলিও ছোড়া হয়। বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠি হাতে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশকে ধাওয়া করেন।

দিনভর সংঘর্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অন্তত আটজন নিহত হন। আহত হন কয়েক শ জন। এঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ গুলিবিদ্ধ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত শাহবাগ, শনিরআখড়া, নয়াবাজার, ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, পল্টন, প্রেসক্লাব এবং মুন্সিগঞ্জ থেকে ২২২ জন আহত হয়ে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। এঁদের ৬৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গুলিবিদ্ধ ৪১ জনকে ধানমন্ডির বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আহত অবস্থায় নেওয়া হয়েছে ৬০ জনকে। এর বাইরে উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন আহত অনেকে।