আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা আওয়ামী লীগের নেই। বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় স্পষ্ট করে লিখিত আছে, ‘জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে।’ সংবিধানের প্রথম ভাগে সন্নিবেশন করা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন।’
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রয়াত সংসদ সদস্য দ্বীপবন্ধু মোস্তাফিজুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার গঠনের পর ১৯৭২ সালে জাতির পিতার নেতৃত্বে গৃহীত সংবিধান পুনঃপ্রবর্তনের লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনেরে উদ্দেশ্যে সিনিয়র পার্লামেন্টেরিয়ান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি বিশেষ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবতার নিরিখে এবং পরহেজগার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন বিবেচনায় নিয়ে মোট ২৭টি বৈঠক করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর প্রস্তাবনা পেশ করেছেন।
‘বিশেষ কমিটির সুপারিশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সংসদে উপস্থাপন করা হয়। পরে প্রবীণ পার্লামেন্টেরিয়ান প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি কর্তৃক চুলচেরা বিশ্লেষণের পর জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী হিসেবে পাশ করে আইনে পরিণত করা হয়েছে। রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র এবং রাষ্ট্রধর্ম ও সকল ধর্মের মর্যাদার বিষয়টি পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মীমাংসিত। এই বিষয়ে নতুন করে পানি ঘোলা করার অবকাশ নেই।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতা, সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা। উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন মিশনের পরিচালনায় অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার গঠনের পর ১৯৭২ সালে জাতির পিতার নেতৃত্বে গৃহীত সংবিধান পুনঃপ্রবর্তনের লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনেরে উদ্দেশ্যে সিনিয়র পার্লামেন্টেরিয়ান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি বিশেষ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবতার নিরিখে এবং পরহেজগার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন বিবেচনায় নিয়ে মোট ২৭টি বৈঠক করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর প্রস্তাবনা পেশ করেছেন।
‘বিশেষ কমিটির সুপারিশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সংসদে উপস্থাপন করা হয়। পরে প্রবীণ পার্লামেন্টেরিয়ান প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি কর্তৃক চুলচেরা বিশ্লেষণের পর জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী হিসেবে পাশ করে আইনে পরিণত করা হয়েছে। রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র এবং রাষ্ট্রধর্ম ও সকল ধর্মের মর্যাদার বিষয়টি পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মীমাংসিত। এই বিষয়ে নতুন করে পানি ঘোলা করার অবকাশ নেই।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতা, সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা। উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন মিশনের পরিচালনায় অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।