রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনে দক্ষিণ কোরিয়ার সমর্থন কামনা

0
12

রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার অব্যাহত সমর্থন কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে অব্যাহত সমর্থন চাইছি।’

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কুয়েন বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

উত্তরে রাষ্ট্রদূত লি আশ্বাস দিয়েছেন যে, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে তার সরকার বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তার সরকারের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিশেষত হাইটেক পার্কগুলোতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের সুযোগ নিয়ে বড় আকারে বিনিয়োগ করতে পারে।’

উত্তরে রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কুয়েন আইসিটি ও ইলেকট্রনিক্সে বাংলাদেশের সাথে চলমান সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘কোরিয়ান ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’

‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে (আইসিটি) বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ’ আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার সরকার ইতোমধ্যে আইসিটি বিভাগের সাথে আইটি ব্যবসা শুরু করতে এবং এখানে আইসিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ কর্মসূচিতে কাজ করছে।

লি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনের গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমকপ্রদ আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীনও বাংলাদেশ তার প্রবৃদ্ধির হার পাঁচ শতাংশের ওপরে বজায় রেখেছে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ।’

‘বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অভিযাত্রায় তার সরকারও অংশীদার হতে চায়,’ যোগ করেন তিনি।

নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দায়িত্ব পালনকালে তাকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

উত্তরে, দুই দেশের মধ্যে বিম্যমান সম্পর্কের আরও উত্তরণ ঘটানোই তার অগ্রাধিকার বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।

সমগ্র জাতি যখন তাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে ঠিক এমন একটি সময়ে তিনি বাংলাদেশে আসাতে আনন্দ ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।